উন্নয়ন নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হতে ডিসিদের আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, “মূল্যস্ফীতিই মূল কনসার্ন হয়ে গেল? আর কিছুই দেখলেন না। মেইন কনসার্নই বা কীভাবে হল?”

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2024, 08:58 AM
Updated : 4 March 2024, 08:58 AM

মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘সত্যিকারের চিত্র’ তুলে ধরতে এবং সরকারবিরোধীদের ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে সরব হতে জেলা প্রশাসকদের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

তিনি বলেছেন, “আমি ডিসিদের ব্রডলি একটা কথা বলেছি। স্বাধীন বাংলাদেশে এখন আমরা সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি। উন্নয়নের সূচকগুলো বাড়ছে। সবগুলো সূচকেই বাড়ছে, এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নাই, হতাশারও কিছু নাই, এগুলো একটা মিথ্যা প্রপাগান্ডা করা হচ্ছে। কিছুই হয় নাই এরকম প্রচারণা চলছে।

“আপনারা (জেলা প্রশাসক) সত্যিকার যেটা আসল চিত্র তুলে ধরবেন। তাহলে মানুষ জানতে পারবে, সাংবাদিকরা জানতে পারবে প্রকৃত চিত্র। “

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চার দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের একটি অধিবেশনে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকারও ছিলেন তার সঙ্গে।

পরে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপির মহাসচিব বলছেন, তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বেগম জিয়া, উনি তো বলেছেন যে, পদ্মা ব্রিজ ভেঙে পড়বে। তারা এই সবই বলে। উনি বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ জোড়াতালি দিয়ে সেতু বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে, আপনারা উঠবেন না। কিন্তু আসলে কী হয়েছে সবাই দেখেছে।“

শেখ হাসিনার ডেল্টা প্লান ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে মাহমুদ আলী বলেন, “সে কারণে জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। রাস্তায় ঘুরলে, মেট্রোরেলে চড়লেই সেটা বোঝা যায়। মহিলারা মেট্রোরেলের হাতলগুলো ধরে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছেন, তারা সন্তুষ্ট।“

মানুষের মূল ভাবনার বিষয় এখন মূলস্ফীতি, এ নিয়ে মন্ত্রী কী ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতিই মূল কনসার্ন হয়ে গেল? আর কিছুই দেখলেন না। মেইন কনসার্নই বা কীভাবে হল? এক কোটি মানুষকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। তারা কম দামে জিনিস কিনতে পারছেন। “

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে যে ১১টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সম্মেলনে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। অর্থাৎ এই ডিসি পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাদেরকে আমি আহ্বান জানিয়েছি, সরকারের যে ইচ্ছা, সেটা কেবল রাজনৈতিক ইচ্ছাই নয়, উন্নয়ন করার যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছা বাস্তবায়নে তারা যেন মনোযোগী হন। “

তিনি বলেন, “দেশের মানুষ সরকার বলতে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদেরকে বুঝে থাকে। তাই তাদের ভালো কর্মগুলো সরকারের ভালো কর্ম হিসেবে মানুষের কাছে বিবেচিত হয়। সেজন্য ডিসিদেরকে আরও বেশি জনবান্ধব হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করেছি।“

সাধারণত সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় মন্তব্য করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা যেহেতু মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, তাই জনবান্ধব কোনো প্রকল্পের বিষয়ে তাদের সুপারিশ থাকলে তারাও করতে পারবেন। সে কথা তাদের বলা হয়েছে।