দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করার জন্য হাসনাত আবদুল্লাহ ও আরিফ সোহেলকে দায়ী করেন তারা।
Published : 18 Feb 2025, 11:07 PM
ঢাকা থেকে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনটির চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের একাংশ।
কমিটি প্রত্যাখান করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে তারা।
রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লালখান বাজার মোড়ের একপাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা পক্ষটি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের অনুসারী।
সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির ফেইসবুক পেইজে সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার পৃথক আহবায়ক কমিটি ছয়মাসের জন্য করে অনুমোদন দেওয়ার তথ্য দেয়।
তিন কমিটি আলাদা অনুমোদন করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করেছেন।
এসব কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল বাসির নাইম তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
সেখানে স্থানীয় সমন্বয়ক সিয়াম এলাহী ও জোবায়ের মানিকও বক্তব্য রাখেন।
তারা সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
আবদুল বাসির নাইম বলেন, চট্টগ্রামের তিন কমিটিতে ‘চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং’ হিসেবে অভিযুক্তদের রাখা হয়েছে। এছাড়া একই ব্যক্তিকে একাধিক পদও দেওয়া হয়েছে।
“জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। এই বিতর্কিত কমিটির জন্য হাসনাত আবদুল্লাহ ও আরিফ সোহেল দায়ী।”
কমিটি বাতিল না করলে ও অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিচার করা না হলে চট্টগ্রাম মহানগর অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। তার পরে বিকালে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।