বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে কলেজে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে গাড়ি চাপায় এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
ইনি হলেন- ফাতেহা জাহান জেবা (১৮)। তার বাবার নাম মো. ফারুক। তাদের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার কালুশাহ মাজার এলাকায়।
তিনি নগরীর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিঙ্ক রোডে শনিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তৌহিদুল করিম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বাড়ি থেকে বাবার সাথে কলেজে যাচ্ছিলেন জেবা। লিঙ্ক রোডে গাড়ির ধাক্কায় মোটর সাইকেল থেকে বাবা-মেয়ে দুপাশে ছিটকে পড়েন।
“এসময় একটি গাড়ির চাপায় জেবা ঘটনাস্থলে মারা যান।”
তার বাবা ফারুকের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদুল বলেন, "মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পথে দু'টি কভার্ড ভ্যান ওভারটেক করার সময় একটি থেকে হর্ন দেয়।
"তিনি মোটর সাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করলে আরেকটি ভ্যান পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি বাম পাশে ও জেবা ডান পাশে ছিটকে পড়েন। এসময় গাড়ি চাপায় তার মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।"
পুলিশ কর্মকতা আরও জানান, স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছে লোহা বোঝাই একটি লরির ধাক্কায় মেয়েটি নিহত হয়েছে। আবার তার বাবা বলছে কভার্ড ভ্যান।
ঠিক কোন ধরনের গাড়ি চাপা দিয়েছে তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার পরের একটি ভিডিওতে রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশেই পড়ে আছে জেবার লাশ।
ভিডিওতে দেখা যায় তার বাবা ফারুক বারবার দৌড়ে রাস্তায় চলন্ত গাড়ির নিচে পড়ে 'আত্মহত্যার চেষ্টা' করছেন। এ সময় পথচারীরা তাকে ধরে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
সেই ভিডিওতে স্থানীয়দের বিএসআরএমের একটি লরিচাপায় মেয়েটি নিহত হয়েছে বলে বলতে শোনা গেছে।