নগরীর টাইগার পাস এলাকায় বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এসময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে অফিসগামী লোকজন টাইগার পাস মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। নগরীতে বৃষ্টির কারণে গাড়ি সংখ্যাও ছিল কম। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলেন।
যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন অফিস ও কারখানার কর্মীরা এক পর্যায়ে রাস্তা অবরোধ করে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া শুরু করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তিন দিনের ‘সীমিত পরিসরে’ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিস-কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এতে করে অফিসে যেতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে কর্মরত পোশাক কারখানার শ্রমিক দেবেশ চৌধুরী বলেন, “সরকার মহামারী ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু যেখানে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হয় সেই পোশাক ও শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে।
“গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিসগুলো খোলা রাখতে বলেছে। সেখানে কর্মরতরা কিভাবে যাবে তা চিন্তা করেনি। অনেক কারখানার কর্মকর্তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকলেও শ্রমিকদের নেই। এতে শ্রমিকরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।”
বিক্ষোভের সময় চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার বাস চলাচলেও বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, টাইগার পাস মোড়ে বিক্ষোভে তাদের বাস আটকে দেওয়া হয়। এতে করে পুরো সড়ক জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে সড়ক ফাঁকা ছিল। টাইগার পাস মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন কারখানায় কর্মীরা হঠাৎ বিক্ষোভ শুরু করে।
“পরে আমরা গিয়ে তাদের এবং বিজিএমইএ’র সঙ্গে কথা বলি। বিজিএমইএ আমাদের আশ্বস্ত করেছে, শ্রমিকদের অফিসে যাওয়া আসার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। এরপর বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সড়ে দাঁড়ায়।”
তবে পোশাক করাখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমই’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ বিক্ষোভের সঙ্গে লকডাউনে কারখানা খোলা রাখার কোনো ‘সম্পর্ক নেই’ বলে দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রমিক পরিবহনের জন্য নিয়োজিত বাস চলাচলে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান সৈয়দ নজরুল।