চট্টগ্রামে সিআরটি ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মহড়া দেখলেন মিলার

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের যৌথ মহড়া দেখেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2021, 12:31 PM
Updated : 28 Feb 2021, 12:31 PM

রোববার দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অ্যান্টিটেরোরিজম অ্যাসিসটেন্স (এটিএ) প্রোগ্রামের আওতায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সোয়াট ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যদের মাসব্যাপী সিআরটি ম্যানটরশিপ ও বিডিইউ ম্যানটরশিপ ট্রেনিং চলছে।

এর মধ্যে শনিবার দেশটির রাষ্ট্রদূত তাদের মহড়া পরিদর্শনে আসেন।

চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে রোববার সিএমপির ক্রাইসিস রেসপন্স টিম ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের যৌথ মহড়া দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। ছবি: সুমন বাবু

পরে রাষ্ট্রদূত মিলার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ মানুষের জীবন বাঁচায়, নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়। এর চেয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না।

“পুলিশ হিসেবে আপনারা যে কাজ করেন তার জন্য যথেষ্ট ধন্যবাদ পান না।”

এসময় তিনি নিজেও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন উল্লেখ করেন মিলার।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছেন, আগামীতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি এ ধরনের প্রশিক্ষণ আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সেটিও তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লইন্স মাঠে সিএমপির ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সোয়াট) ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের যৌথ মহড়া রোববার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সুমন বাবু

“পুলিশ বাহিনীতে স্পেশালাইজড ইউনিট সময়ের দাবি। বর্তমান সরকারের আমলে মহানগরগুলোতে এ ধরনের টিম গঠন হয়ে গেছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, সেগুলো হচ্ছে।”

ডগ স্কোয়াড যুক্ত হলে এ টিম আরও উন্নত হবে বলে মনে করেন সিএমপি কমিশনার।

তিনি জানান, সিএমপিতে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব তৈরি হচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও নগর পুলিশের সক্ষমতা বাড়বে।

চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লইন্স মাঠে সিএমপির ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সোয়াট) ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের যৌথ মহড়া রোববার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সুমন বাবু

চট্টগ্রামে চলমান এ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের সোয়াট, নেভি সিল কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সিকিউরিটি অফিসার প্রেসটিনা ইউলিয়ামস, কাউন্টার টেরোরিজম পরামর্শক ক্রিস্টোফার উইনগার্ডসহ চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগে জর্ডানে এ ধরনের প্রশিক্ষণ হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও হচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর এ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আবার তা চালু হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এ প্রশিক্ষণে সিএমপির সোয়াটের ২৬ জন এবং বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ১৩ জন সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।