নারী উন্নয়ন ফোরাম নামের একটি সংগঠন শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে ওই দাবি জানিয়েছে।
ফোরামের কর্ণফুলী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেজা বেগম নিশি বলেন, “প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে চার নারীকে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন।”
তিনি বলেন, “ধর্ষণের পর কর্ণফুলী থানা-পুলিশ ঠিকানার অজুহাত তুলে মামলা নিতে গড়িমসি করেছে। তারা ধর্ষণের শিকার অসহায় নারীদের পটিয়া ও কর্ণফুলী থানায় বারেবারে পাঠিয়ে অযথা হয়রানি করেছে।”
একদল অস্ত্রধারী গত ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের শাহমীরপুর গ্রামের এক বাড়িতে হানা দিয়ে প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রীসহ চার নারীকে ধর্ষণ করে।
পরদিন ওই চার নারী কর্ণফুলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হস্তক্ষেপে গত ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে পুলিশ মামলা নেয়। সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলা নিলেও পুলিশ ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে এখনও ‘ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে’ বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন বানেজা বেগম।
তিনি বলেন, “পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ না করে টিআই প্যারেডের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করছে।”
কর্ণফুলী থানা পুলিশ নারীদের নিরাপত্তা দিতে এবং অপরাধকারীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ ওসি সৈয়দুল মোস্তফার প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি।
অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনরের কার্যালয় এবং পরদিন কর্ণফুলী থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
অন্যদের মধ্যে ফোরামের কর্ণফুলী উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোমেনা আক্তার নয়ন, সাজিয়া সুলতানা, নাজমুন নাহার, রোকসানা আক্তারুন্নবী, শ্যামলী সমাজকল্যাণ সংস্থঅর নির্বহী পরিচালক অরুণা আক্তার মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
নারী উন্নয়ন ফোরামের ওই দাবি ও অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওসি সৈয়দুল মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের দাবি তারা করতেই পারে। আমাদের কাজ আমরা করছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে”