নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন ডিসি।
Published : 14 Sep 2024, 09:26 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খোঁজখবর নিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
শনিবার দুপুরে বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়ন ও নগরীর লালখান বাজার এলাকায় গিয়ে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার দিন গত ৫ অগাস্ট ঢাকায় নিহত হন মো. ওমর বিন আবছার। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) ছাত্র ওমরের বাড়ি পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদণ্ডী এলাকায়।
শনিবার দুপরে তার বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক। এসময় ওমরের বাবা নুরুল আবছার ও মা রুবি আক্তার এবং ভাইবোনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের সঙ্গে আলাপের ওমরের বাড়ির পাশের সড়কটি তার নামে নামকরণ করেন জেলা প্রশাসক। পরিবারের পক্ষ থেকে কবরস্থানের রাস্তা সংস্কারের কথা বললে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এরপর নগরীর লালখান বাজারে আসবাব দোকানের কর্মচারী নিহত মো. ফারুকের বাসায় যান জেলা প্রশাসক। গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে নিহত হন ফারুক।
তার স্ত্রী সীমা আক্তার জেলা প্রশাসককে জানান, অর্থাভাবে তার ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার পথে। এসময় সীমা আক্তারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুলে ভর্তি ও বিনাবেতনে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ফরিদা খানম।
পরবর্তীতে লালখান বাজারের বাঘঘোনা এলাকায় শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমদ শান্তর বাসায় যান জেলা প্রশাসক। শান্তও ১৬ জুলাই আন্দোলনের মধ্যে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় প্রাণ হারান।
জেলাপ্রশাসক শান্তর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার বাবাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা তুলে দেন শান্তর মা কোহিনুর আক্তারের হাতে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদি-উর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা হিমাদ্রী খীসা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান ও সাদিক আরমান জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।