“আজকে রাজনৈতিক যে একটা কালচার হয়ে গেছে, যে আসবে তার ছবিটা দিয়ে ম্যুরাল বানানো; এটা আসলে স্থায়ী নয়,” বলেন ডা. শাহাদাত।
Published : 23 Jan 2025, 01:48 PM
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের ওয়ালি বেগ খাঁ মসজিদ মোড়ে একটি ইসলামি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধনের সময় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “এসব এলাকা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী। অলি খাঁ বেগ মসজিদ একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এর ঐতিহাসিক পটভূমিকা রয়েছে। মনুমেন্ট আমরা করেছি যাতে পরবর্তী প্রজন্ম বুঝতে পারবে এই মসজিদটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
“এই মসজিদের ঐতিহ্য, নিদর্শন ও পুরাকীর্তি শুধুমাত্র চট্টগ্রামের মানুষকে নয় বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করে। মানুষ যখনই চট্টগ্রামে আসে এই ওয়ালি বেগ খাঁ মসজিদটি দেখতে আসে। আমি মনে করি, এটা তাদেরকে আরো বেশি আকৃষ্ট করবে। চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনে এটা ভূমিকা রাখবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “আজকে রাজনৈতিক যে একটা কালচার হয়ে গেছে, যে আসবে তার ছবিটা দিয়ে ম্যুরাল বানানো; এটা আসলে স্থায়ী নয়। আল্টিমেটলি যে স্টেজে গিয়ে আরেকটি দল আসে, সেটা ভেঙে ফেলা হয়। এটা আমরা দেখেছি।
“আমরা মনে করি, আমাদের যে কালচার, আমাদের মসজিদের যে সৌন্দর্যবর্ধন এবং এর যে একটা অতি পুরাতন ঐতিহ্য- এটাকে সংরক্ষণ করতে হবে।”
এরকম আরো স্তম্ভ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. শাহাদাত বলেন, “এরকম আমাদের প্ল্যান আছে। যে মসজিদগুলো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ এবং যে ইসলামিক নির্দশনগুলো ঐতিহ্যবাহী…। অক্সিজেন চত্বরেও যেমন ও কোতোয়ালী চত্বরে আমরা করছি। এ ধরনের আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।”
ওয়ালি খান বেগ মসজিদের নতুন ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংস্কারের অনেক কাজ বাকি আছে। এখনো লিফট লাগানো হয়নি। আরো কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো আমরা করে যাব।”
চট্টগ্রামের মোগল ফৌজদার ওয়ালি খান বেগ ১৭১৩ থেকে ১৭১৬ সালের মধ্যে নগরীর চকবাজার এলাকায় ছয় গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করেন। তার নামানুসারে মসজিদটির নাম ওয়ালি বেগ খাঁ জামে মসজিদ। লোকমুখে তা অলি খাঁ মসজিদ নামে পরিচিত। মোড়টি পরিচিত অলি খাঁ মোড় নামে।
পুরনো মসজিদটি অক্ষত রেখে এর সামনেই নতুন আরেকটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ৮ বছর আগে।
৫ অগাস্ট গণঅভুত্থ্যানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই অলি খাঁ মোড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এই স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শুরু হয়।