তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য বিভাগীয় বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়েছে, বলেছেন দুদকের আইনজীবী।
Published : 23 Jan 2025, 02:59 PM
অবৈধ সম্পদের মামলায় চট্টগ্রাম ওয়াসার সাবেক এক গাড়ি চালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ নুরুল ইসলাম অভিযোগপত্র গ্রহণের পাশাপাশি মামলাটি বিচারের জন্য আদালতও নির্ধারণ করে দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসা বেগমের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন আদালত।
মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই বিচার কাজ চলবে।”
তাজুল ইসলাম ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার গাড়ি চালক। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দুই বছর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
দুদক ২০২২ সালের ৫ মার্চ তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।
চলতি মাসে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন। বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, তাজুল ইসলামের স্ত্রী খাইরুন নেসা বেগমের বৈধ কোন আয়ের উৎস নেই।
তদন্তে নগরীর পশ্চিম শহীদনগর এলাকার তৈয়্যবিয়া হাউজিং সোসাইটিতে খাইরুন নেসা বেগমের নামে কেনা তিন শতক জমিতে একটি পাঁচতলা বাড়ির খোঁজ পায় দুদক। সে বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। পাশাপাশি খাইরুন নেসার ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেছেন, তাজুল ইসলামের স্ত্রীর নামে থাকা প্রায় ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের কোন বৈধ উৎস খোঁজে পায়নি দুদক। মূলত তাজুল ইসলামের অবৈধ আয়ে এসব সম্পদ গড়া হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
“তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।”
তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ১৯৮৯ সালে তিনি ওয়াসায় গাড়ি চালকের সহকারী পদে যোগদান করেছিলেন।