আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুরুষদের মধ্যে কলিন্স ওবুয়ার চেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার আছে কেবল সাত জনের।
Published : 24 Mar 2024, 09:35 PM
কেনিয়ার ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারানোর এক দশক পেরিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলছিলেন কলিন্স ওবুয়া। এবার সেটিরও সমাপ্তি। প্রায় ২৩ বছরের পথচলার ইতি টেনে দিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার অসাধারণ সাফল্যের নায়কদের একজন ৪২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
আফ্রিকা গেমসের তৃতীয় স্থানের প্লে-অফে শনিবার উগান্ডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন ওবুয়া। ম্যাচটি ১০৬ রানে হারে তার দল।
“২৩ বছর খেলার পর আমি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেনিয়ার হয়ে খেলাটা ছিল অনেক বড় সম্মানের।”
বিদায়ী ম্যাচে ওবুয়াকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় দুই দলের ক্রিকেটাররা। রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে নেমে ৫ বলে শূন্য রানে আউট হন তিনি।
ওবুয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার স্থায়ী হলো ২২ বছর ২২১ দিন। পুরুষদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন কেবল সাত জন। যেখানে চূড়ায় উইলফ্রেড রোডস (৩০ বছর ৩১৫ দিন)।
২০০১ সালের ১৫ অগাস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ওবুয়া। এই সংস্করণে দেশের হয়ে ১০৪ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছেন ২ হাজার ৪৪, দলটির হয়ে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। লেগ স্পিনে উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারায় কেনিয়া।
টি-টোয়েন্টিতে কেনিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৭৬ ম্যাচে করেছেন ১ হাজার ৭৯৪ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৯৬। উইকেট নিয়েছেন ২৫টি।
কেনিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠায় বড় অবদান ছিল ওবুয়ার। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় কেনিয়া। সেই জয়ের নায়ক ছিলেন ওবুয়া।
নাইরোবিতে ওই ম্যাচে ২১০ রানের পুঁজি নিয়েও শ্রীলঙ্কাকে ৫৩ রানে হারায় কেনিয়া। লঙ্কানদের ১৫৭ রানে গুটিয়ে দিতে ১০ ওভারে ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ওবুয়া, এখনও যা কেনিয়ার কারও এই সংস্করণে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেটিই ছিল কেনিয়ার প্রথম জয়, যা তাদের সুপার সিক্সে ওঠার পথ সুগম করেছিল।
পরে সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেয় কেনিয়া। তাদের পর আইসিসির আর কোনো সহযোগী দেশ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠতে পারেনি।
আসরে ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ওবুয়া। বিশ্বকাপ সাফল্যের পর কেনিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার কীর্তি গড়েন তিনি।
২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় তিনে নেমে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ওবুয়া। দল হারলেও সেদিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।
ওই বিশ্বকাপের পর তাকে কেনিয়ার অধিনায়ক করা হয়, কিন্তু ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে ২০১৩ সালে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন ওবুয়া।