ইয়াং-রবীন্দ্র-ল্যাথামের ব্যাটে নিউ জিল্যান্ডের ৩২২

তিন ফিফটির সৌজন্যে নেদারল্যান্ডসকে ৩২৩ রানের লক্ষ্য দিল নিউ জিল্যান্ড।

শুরুটা দারুণ করলেন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিলেন ইয়াং। পরে দায়িত্ব নিলেন টম ল্যাথাম, ড্যারেল মিচেল, মিচেল স্যান্টনাররা। সম্মিলিত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ দাঁড় করাল নিউ জিল্যান্ড। 

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোমবার ইয়াং, রবীন্দ্র, ল্যাথামের ফিফটির সৌজন্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩২২ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড।

বিশ্বকাপে তিনশর বেশি রান করা আগের ৮ ম্যাচের কোনোটি হারেনি নিউ জিল্যান্ড। নেদারল্যান্ডস জিততে পারেনি তিনশর বেশি রান তাড়া করতে নামা আগের ৭ ম্যাচে। ফলে ম্যাচ জিততে রেকর্ড গড়তে হবে ডাচদের।

দলকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পথে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ইয়াং। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র এ দিন খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন কনওয়ে ও ইয়াং। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রান করা কনওয়েকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রুলফ ফন ডান মেরওয়া। 

পরে রবীন্দ্রর সঙ্গে ৭৭ রানের জোট বাঁধেন ইয়াং। পল ফন মেকেরেনের বলে ব্যাটের সামনের অংশে লেগে মিড-অনে দেওয়া সহজ ক্যাচে থামে ইয়াংয়ের ৭ চার ও ২ ছক্কায় খেলা ৮০ রানের ইনিংস। 

দেখে শুনে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র। পরে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে মেরওয়ার বলে স্টাম্পড হন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৫১ বলে ৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা মারেন তিনি। 

ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও অল্পের জন্য পারেননি মিচেল। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৭ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন তিনি। আরিয়ান দত্তের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ৪৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কা মারা ল্যাথাম।

শেষ দিকে ৩ চার ও ২ ছয়ে ১৭ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন স্যান্টনার। 

নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আরিয়ান, মেকেরেন, মেরওয়া।