আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শেষ করতে যাচ্ছেন মারাইস ইরাসমাস। নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়ে দেড় যুগের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার।
তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশের টেস্টটি শুরু হবে শুক্রবার। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে এটিই হয়ে থাকবে ৬০ বছর বয়সী ইরাসমাসের শেষ ম্যাচ।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে পথচলা শুরু হয় ইরাসমাসের। ২০১০ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পেয়ে যান তিনি।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট পরিচালনা করতে নামার আগের দিন সাংবাদিকদের ইরাসমাস বললেন, লম্বা সময় এই দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে তার।
“এলিট প্যানেলে আমি দারুণ সময় কাটিয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু ম্যাচ ও আইসিসির বৈশ্বিক আসরগুলোতে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি খুবই ভাগ্যবান যে, দক্ষিণ আফ্রিকান একজন ক্রিকেটার হিসেবে সেই অধ্যায়ের ইতি টানার পরও খেলাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছি এবং প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। যদিও এলিট প্যানেলে থাকা এবং এর চ্যালেঞ্জগুলো আমি মিস করব, তবে আমার মনে হয়, সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এরপর অন্য কোনোভাবে খেলাটিতে অবদান রাখার চেষ্টা করব।”
ছেলেদের ক্রিকেটে ৮২ টেস্ট, ১২৪ ওয়ানডে ও ৪৩ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি পরিচালনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অবসরে যাবেন ইরাসমাস। মেয়েদের ক্রিকেটেও ১৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন ১৩১ ম্যাচে।
সফল ক্যারিয়ারে চারটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ (২০১১, ২০১৫, ২০১৯, ২০২৩) এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরটি বাদে সবগুলোতে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন ইরাসমাস। এছাড়া তিনটি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১০, ২০১২, ২০১৪) ও ছেলেদের দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (২০১৩ ও ২০১৭) ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।
২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের রোমাঞ্চকর ফাইনালটিতে অন-ফিল্ড দুই আম্পায়ারের একজন ছিলেন ইরাসমাস। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সাকিব আল হাসানের আবেদনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ‘টাইমড আউট’ দিয়েছিলেন তিনিই।
২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার (ডেভিড শেফার্ড ট্রফি) জেতেন ইরাসমাস।