অবসর ভেঙে ফেরায় স্টোকসের সমালোচনায় পেইন

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মনে করছেন, স্রেফ নিজের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।

বেন স্টোকসের (ডানে) অবসর ভেঙে ফেরার সিদ্ধান্ত অনেকের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে বলে মনে করেন টিম পেইন (বাঁয়ে)।

বিশ্বকাপের আগে অবসর থেকে ওয়ানডেতে বেন স্টোকসের ফেরাকে ভালোভাবে নিতে পারছেন না টিম পেইন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়কের মতে, স্বার্থপরের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার।

গত বছরের জুলাইয়ে হুট করেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন স্টোকস। তখন কারণ হিসেবে বলেছিলেন, একইসঙ্গে তিন সংস্করণে সামর্থ্যের শতভাগ দিতে না পারার কথা।

তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ও সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের নায়ককে আসছে বৈশ্বিক আসরে খুব করেই চাইছিল ইংল্যান্ড। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার অবশ্য স্টোকসের ওপরই ছেড়ে দেয় তারা।

শেষ পর্যন্ত নিজের চাওয়াতেই অবসরের সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। গত অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হওয়ার ‘সপ্তাহখানেক কিংবা ১০ দিন’ পর ফিরতে চাওয়ার কথা দলকে জানান স্টোকস।

ইংলিশ টেস্ট অধিনায়কের অবসর ভেঙে ফেরা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন পেইন। এসইএন রেডিও-তে তিনি বলেন, স্রেফ নিজের কথা ভেবেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন স্টোকস।

“ওয়ানডে অবসর ভেঙে বেন স্টোকসের ফেরার বিষয়টি আমার কাছে মজার লেগেছে। এটা কেবলই তার আত্মকেন্দ্রিক ভাবনা, তাই নয় কি? বিষয়টি এমন যে, আমি বেছে নেব কোথায় খেলতে চাই ও কখন খেলতে চাই এবং আমি বড় টুর্নামেন্টে খেলব।”

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী মাসে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের যে দল দেওয়া হয়েছে, সেটিকেই বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াড বলছেন তারা। যে দলে আছেন স্টোকস।

তার ফেরায় কপাল পুড়েছে হ্যারি ব্রুকের। বিশ্ব ক্রিকেটেরই সবচেয়ে আলোচিত তরুণ প্রতিভাদের একজনকে বিশ্বকাপ ভাবনায় রাখেনি ইংল্যান্ড। স্টোকস ফিরলে কোপটা তার ওপরই পড়বে, কোচ ম্যাথু মট ও অধিনায়ক জস বাটলারের কাছ থেকে আগেই বার্তা পেয়েছিলেন ব্রুক।

হাঁটুর চোটের সঙ্গে লড়াই করা স্টোকস বিশ্বকাপে বোলিং করতে পারবেন কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তাই ব্রুক ও স্টোকসের মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখেন না পেইন।

“আমি জানি না, সে (স্টোকস) যে বোলিং করছে না। সেটা হলে, ব্যাটসম্যান হিসেবে হ্যারি ব্রুক নাকি বেন স্টোকস? দুইজন খুব, খুব, খুবই কাছাকাছি।”

পেইনের মতে, বিশ্বকাপে খেলার আশায় গত এক বছর ধরে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

“গত ১২ মাস ধরে যারা খেলছে, তাদেরকে বললাম, ‘দুঃখিত ও ধন্যবাদ। তবে আপনি গিয়ে বেঞ্চে বসুন, কারণ আমি এখন খেলব?’”