পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সাঈদ আহমেদ আর নেই। অসুস্থ অবস্থায় বুধবার লাহোরের একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সাঈদের মৃত্যুর খবর। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
১৯৫৮ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত সময়ে পাকিস্তানের হয়ে ৪১টি টেস্ট খেলেন সাঈদ। হানিফ মোহাম্মদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ১৯৬৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তিন ম্যাচই ড্র হয়।
৭৮ ইনিংসে ৪০.৪১ গড়ে সাঈদের রান ২ হাজার ৯৯১। সেঞ্চুরি আছে ৫টি। অফ স্পিনে ৪১ ইনিংসে শিকার করেন ২২ উইকেট।
সাঈদের টেস্ট অভিষেক হয় ২০ বছর বয়সে, ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই বিখ্যাত টেস্ট দিয়ে। যে ম্যাচে ৯৭০ মিনিট ব্যাটিং করে ৩৩৭ রানের ইনিংস খেলেন হানিফ মোহাম্মদ। সময়ের হিসাবে যা টেস্ট ইতিহাসের দীর্ঘতম ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে এখনও। তৃতীয় উইকেটে হানিফের সঙ্গে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন সাঈদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রানের ইনিংস।
ওই সফরেই জর্জটাউনে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান সাঈদ। রয় গিলক্রিস্ট, ল্যান্স গিবস ও গ্যারি সোবার্সদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার পাঁচ সেঞ্চুরির কোনো ম্যাচেই অবশ্য জিততে পারেনি পাকিস্তান।
সাঈদের ক্যারিয়ারের শেষটা ভালো ছিল না। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্ন টেস্টে ডেনিস লিলির সঙ্গে বিতণ্ডার পর পিঠে চোট দেখিয়ে পরের টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। তবে বোর্ডের ধারণা ছিল, মিথ্যা বলেছিলেন সাঈদ। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর কখনও পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
অবসরের পর সাঈদ ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান। আর কখনও ক্রিকেটের আঙিনায় কাজ করেননি। কয়েক বছর ধরে লাহোরে একাই বাস করেছিলেন তিনি। স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বুধবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।
দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন সাঈদ। তার সৎ ভাই ইউনিস আহমেদ পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন চার টেস্ট।