নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
Published : 06 Aug 2024, 01:23 AM
পরপর দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর রানের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে বল হাতেও আলো ছড়ালেন তিনি। এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল তার দল।
কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে সোমবার সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছে সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলা টাইগার্স মিসিসগা।
বৃষ্টির কারণে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে সারে করে ১০৮ রান। বাংলা টাইগার্স লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৩ বল বাকি থাকতে।
৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে একটি উইকেট নেন তিনি। এছাড়া তিনটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।
সাকিবের মতো ৪ ওভারে ২৪ রানে একটি উইকেট নেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম।
সারের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের ৬ বলে কেবল ২ রান নিতে পারেন ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলান।
নিজের পরের ওভারের প্রথম তিন বলে শরিফুল বেঁধে রাখেন হামজা তারিককে। তবে শেষ তিন বলে হজম করেন দুটি বাউন্ডারি। এই ওভারে দেন ৯ রান।
পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম তিন বলে কোনো রান দেননি সাকিব। চতুর্থ বলে চার মারেন তারিক। পরের বলেই প্রতিশোধ নেন সাকিব, মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তারিক।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেকটি বাউন্ডারি হজম করে সাকিব দেন ৭ রান। একটু পর মার্কাস স্টয়নিসকে ফেরাতে তিনি রাখেন বড় ভূমিকা। মিড অফ থেকে বেশ খানিকটা দৌড়ে ডাইভ দিয়ে বল মুঠোবন্দি করেন তিনি।
সাকিব নিজের পরের ওভারে দেন কেবল ৩ রান। টানা চার ওভারের স্পেলে কোটার শেষ ওভারে একটি ছক্কা হজম করে তিনি দেন ১০ রান।
শরিফুল চতুর্দশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে বিদায় করেন শ্রেয়াস মভাকে। এই ওভারে তিনি দেন কেবল ৩ রান। কোটার শেষ ওভারে দুটি বাউন্ডারিতে ১০ রান দেন তিনি।
রান তাড়ায় পঞ্চম ওভারে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। তৃতীয় বলে চার মেরে রানের দেখা পান তিনি।
এরপর দ্রুত আরও দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলা টাইগার্স। একটা পর্যায়ে সাকিবের রান ছিল ৯ বলে ৬। পরে তিনি ছক্কায় ওড়ান লেগ স্পিনার জুনাইদ সিদ্দিকিকে। চার মারেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার সুনিল নারাইনকে।
দলের দরকার যখন ১৮ বলে ২১, লোগান ফন বিকের ওভারে ডাবল নেওয়ার পর টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন সাকিব। পরের বলেই অবশ্য তিনি আউট হয়ে যান স্কুপ করার চেষ্টায় কিপারকে ক্যাচ দিয়ে। তবে দলের জিততে সমস্যা হয়নি।
আসরে ৬ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে বাংলা টাইগার্স।