দেশের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক এই বিতর্ক নিয়ে মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, “আশরাফুল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাই এই ব্যাপারে কোনো প্রমাণের দরকার নেই। তাকে আমরা শাস্তি দিচ্ছি না কিন্তু আসন্ন কোনো খেলাধুলায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।”
“আশরাফুল নিজেই আমাকে বলেছেন, তিনি সব স্বীকার করে এসেছেন। ঠিক কি বলেছেন আমি জানি না। আমাকে বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি শুনিনি। তিনি হয়ত ‘বেনিফিট অব ডাউট’ পেতে পারতেন কিন্তু আমার মনে হয় না সেটা দেয়া ঠিক হবে। স্বীকারোক্তি দেয়ার পর তাকে খেলানোর ঝুঁকি আমি নিতে পারি না।”
“এছাড়া অন্য কয়েক জনের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে কিন্তু সে বিষয়ে তদন্ত এখনো শুরু হয়নি, প্রমাণও নেই। এটা নিয়ে কিছু করবো না। এখন ধাম ধাম করে নাম আসতে পারে। দোষী না হলেও পত্রিকায় নাম এলে কি অবস্থা হবে সেটা ভাবার অনুরোধ করবো,” যোগ করেন তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, আকসুর তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।
“আপনাদের অনুরোধ করব আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।। তা না হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত কি হবে তা আপনাদের জানা।”
বিসিবি সভাপতি বলেন, আকসুর প্রতিবেদনে কতোজনের নাম আসতে পারে বা কি অভিযোগ আসতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় এখনো আসেনি।
“তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”
আইসিসি ও বিসিবি যৌথ ভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান আকসুর কর্মকর্তারা। বিপিএলে ম্যাচ পাতানো নিয়ে তদন্তের জন্য গত আড়াই মাসে এটা তাদের চতুর্থ বাংলাদেশ সফর।
আগের সফরে কয়েক জন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এবার কোনো ক্রিকেটারকেই ডাকেননি আকসুর কর্মকর্তারা। তবে রোববার বিপিএলে দুই আসরেরই চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মালিক সেলিম চৌধুরীর ছেলে এবং দলটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।