সেন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনে ৪৫ মিনিটের মতো খেলা হওয়ার পরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। লাঞ্চের আগে আর শুরু হতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৭ উইকেটে ৩৭৬।
বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে এখন ১৪২ রানে।
ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সকালে ১০ ওভারে ৩৬ রান তোলে ক্যারিবিয়ানরা, উইকেট হারায় তারা দুটি।
১২৬ রানে দিন শুরু করে কাইল মেয়ার্স অপরাজিত ১৪০ রানে।
সকালে খেলা শুরুর আগেও সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টি হয়ে যায় এক চোট। তবে তা থেমে যাওয়ার পর খেলা শুরু হয় সময়মতোই। দিনের প্রথম ওভার পেসার খালেদ করলেও দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বেশ কিছুক্ষণ ঢেকে রাখা উইকেটে আর্দ্রতা ছিল, তাই দুই প্রান্তেই পেসার আনা উচিত ছিল কিনা, এই নিয়ে আলোচনা চলছিল ধারাভাষ্যকক্ষে। সেই আলোচনা মিরাজ থামিয়ে দেন নিজের প্রথম ওভারেই।
তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলের ড্রিফট বুঝতে পারেননি জশুয়া, সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে-বলেই করতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার। আগের দিন ১০৬ বলে ২৬ রান করা ব্যাটসম্যান এ দিন যোগ করতে পারেন আর কেবল ৩ রান।
মিরাজের পরের ওভারেই দারুণ দুটি শটে বাউন্ডারি মেরে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দেন মেয়ার্স। তবে আরেকপ্রান্তে আলজারি জোসেফকে ফেরান খালেদ।
এরপর খালেদ ও মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে মেয়ার্স ও কেমার রোচ বেছে নেন সাবধানী ব্যাটিংয়ের পথ। সেই লড়াই থামিয়ে দেয় বৃষ্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৪০/৫) ১১৬ ওভারে ৩৭৬/৭ (মেয়ার্স ১৪০*, জশুয়া ২৯, জোসেফ ৬, রোচ ৭*; শরিফুল ১৭-৬-৬৭-১, খালেদ ২৬-১-৯৩-৩, সাকিব ১৮-৫-৪৬-০, ইবাদত ১৯-৬-৫৬-০, মিরাজ ৩৬-৮-৮২-৩)।