দুবাই থেকে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে যান আব্বাস। পরদিন অসুস্থ অনুভব করায় ৭৪ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই মাসের শুরুতে দুবাইয়ে থাকাকালীন কোভিড-১৯ পজিটিভ হন আব্বাস। ওই কারণে লন্ডনে তার যাওয়ার দিন পিছিয়ে যায়। পরে সেরে উঠে লন্ডনে পৌঁছানোর পরপরই আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয় তাকে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে তার।
১৯৬৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আব্বাস। ৭৮ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে তার রান ৫ হাজার ৬২। আর ৬২ ওয়ানডেতে করেন ২ হাজার ৫৭২ রান। তার নামের পাশে ৭ সেঞ্চুরি ও ১৩ ফিফটি।
নিজের প্রজন্মের সবচেয়ে স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানদের একজনও। উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১০০টির বেশি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি আছে কেবল তারই। তাকে ‘এশিয়ার ব্র্যাডম্যান’ ডাকা হতো। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৪৭ এর বেশি এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ৮৫। ওই সময়ে যা ছিল প্রায় অতুলনীয়।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে পাকিস্তানকে ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আব্বাস।
সব মিলিয়ে ৪৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১০৮ সেঞ্চুরি ও ১৫৮ ফিফটিতে আব্বাসের রান ৩৪ হাজার ৮৪৩। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩২৩ ম্যাচ খেলে তার রান ১১ হাজার ২৪০। সেঞ্চুরি ১৯টি ও ফিফটি ৭২টি।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেন আব্বাস। আইসিসির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০২০ সালে জ্যাক ক্যালিস ও লিসা স্টালেকারের সঙ্গে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে নেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি।