ঘরের মাঠে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে তিন সংস্করণের অধিনায়ক রোহিতকে বিশ্রাম দেয় ভারত। দলে থাকলেও সিরিজ শুরুর আগে কুঁচকির চোটে ছিটকে যান দারুণ ছন্দে থাকা রাহুল। দুই জনই ভারতের অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
তাদের অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেন কিষান ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাদের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দল, উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৭ রান। রুতুরাজ দ্রুত ফিরলেও কিষান তুলে নেন ফিফটি। খেলেন ৩ ছক্কা ও ১১ চারে ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস।
ভারত ২১১ রানের পুঁজি গড়েও ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার ও রাসি ফন ডার ডাসেনের ঝড়ো ইনিংসে ৫ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ৭ উইকেট হাতে রেখে।
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কিষান। এর মধ্যে ৯ ম্যাচেই ওপেনিংয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, যদিও এর মধ্যে বেশিরভাগই রাহুল না থাকায়। তিনে ও ছয়ে খেলেছেন একবার করে। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিনি।
রাহুল-রোহিত দলে ফিরলে তার ভূমিকা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ শেষে প্রশ্ন করা হয় কিষানকে। জবাব দেন তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে।
“তারা (রোহিত-রাহুল) বিশ্বমানের ক্রিকেটার। তারা দলে থাকলে আমি এই জায়গা চাইতে পারব না। দেশের হয়ে তারা অনেক রান করেছেন। আমি তো তাদেরকে নিজেদের বসিয়ে আমাকে (ওপেনিংয়ে) জায়গা দিতে বলতে পারি না।”
“আমার কাজ হলো অনুশীলনে নিজের সেরাটা দেওয়া। যখনই সুযোগ পাব, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে এবং দলের জন্য ভালো করতে হবে। আমার কী করণীয় সেদিকেই আমি বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।”
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি চারটিতেও হয়তো ইনিংস শুরু করবেন কিষান। এর পরের ভাবনা নির্বাচক ও কোচদের ওপর ছেড়ে দিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
“আমাকে নিজের কাজ করে যেতে হবে। বাকিটা নির্বাচক ও কোচদের ওপর নির্ভর করছে, তারা যে সিদ্ধান্ত নেয়। আমার কাজ হচ্ছে, সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়া।”
আগামী রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের তিন ম্যাচ যথাক্রমে ১৪, ১৭ ও ১৯ জুন।