আইপিএলে বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ের ভিত গড়ে দেন এই দুজনই। নিজের পুরনো দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ৫৮ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। পাঁচে নেমে পাওয়েল ছয় ছক্কায় করেন ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৭।
দুজনের জুটিতে আসে ৬৬ বলে ১২২ রান। ২০ ওভারে ২০৭ রান তুলে দিল্লি ম্যাচ জিতে নেয় ২১ রানে।
দিল্লির ইনিংসের ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে তিনটি বাউন্ডারি মেরে ওয়ার্নারের রান দাঁড়ায় ৯২। কিন্তু শেষ ওভারে তিনি স্ট্রাইকই পাননি। স্ট্রাইকে থাকা পাওয়েলের ব্যাটিংয়ের ধরনে দেখা যায়নি ওয়ার্নারকে স্ট্রাইক দেওয়ার চেষ্টা।
ইনিংস শেষে সেটির কারণ জানান পাওয়েল নিজেই।
“শেষ দিকে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম (কী করা উচিত)… ডেভিড ওয়ার্নারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘সিঙ্গেল নিয়ে তোমাকে সেঞ্চুরি করার সুযোগ দেব?’ সে আমাকে বলল, ‘ক্রিকেট এভাবে খেলা উচিত নয়।’ সে আমাকে বলল বড় শট খেলতে। আমি সেটিই চেষ্টা করেছি।”
সেই চেষ্টায় পাওয়েল সফলও হন যথেষ্টই। সানরাইজার্সের ফাস্ট বোলার উমরান মালিক গতির ঝড় তুললেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাল্টা জবাব দেন পাওয়েল। শেষ ওভারে তার একটি ছক্কা ও তিন চারে মোট রান আসে ১৯। দলের জয়ে যা রাখে বড় ভূমিকা।
শেষ ওভারে উমরানের একটি ডেলিভারি ছিল ১৫৬.৯ কিলোমিটার গতির। ২০১২ সাল থেকে এবারের আসর পর্যন্ত আইপিএলের সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারি এটি। সেই বলেও চার মারেন পাওয়েল।
ম্যাচের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে ওয়ার্নার বললেন, নিজের সেঞ্চুরির ভাবনা নয়, বরং তার মাথায় ছিল খুনে মেজাজে থাকা পাওয়েলকে শেষ ওভারে যতটা সম্ভব স্ট্রাইকে রাখা।
“আমি তাকে বলেছিলাম, ‘যা কিছুই হোক না কেন, আমি দুই নেবই। তাতে রান আউট হলেও সমস্যা নেই।’ আমাদের প্রয়োজন ছিল দুইশর বেশি রান। আমি তাকে বলেছিলাম, সে স্ট্রাইকে থাকলে ২১০ রান হয়ে যেতে পারে আমাদের। আমার সেঞ্চুরি নাহয় হলোই না…।”
সবার চাওয়া পূরণ হয়েই শেষ পর্যন্ত ফুটেছে দিল্লির জয়ের ফুল।