লাল ও সাদা বলে আলাদা কোচ চায় ইংল্যান্ড

সামনে ঠাসা সূচি। ফাঁকা পড়ে আছে প্রধান কোচের পদ। এমন সময়ে নিজেদের পুরনো কোচিং কাঠামোতে ফিরছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টেস্ট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য আলাদা প্রধান কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2022, 08:59 PM
Updated : 10 May 2022, 11:06 AM

কিছুদিন আগে ছেলেদের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে রব কি এর নিয়োগের পর থেকে সংস্করণ ভেদে আলাদা কোচের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসিবি এবার আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জন নতুন প্রধান কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে। 

প্রার্থীরা পছন্দের পদে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৬ মে পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডের সাক্ষাত্কারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ ও ১০ মে।

ইংল্যান্ডের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ শুরু আগামী ২ জুন, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সীমিত ওভারের পরের সিরিজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, ১৭ জুন থেকে। 

ইংল্যান্ড দলে এর আগে সংস্করণ ভেদে আলাদা কোচ ছিল ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। তখন টেস্টের দায়িত্বে ছিলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অ্যাশলে জাইলস। সে সময় ফাটল ধরেছিল দুজনের সম্পর্কে। ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়মিতভাবে সীমিত ওভারের সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এখন অবশ্য ইংল্যান্ডের সাদা বলের দলেই প্রত্যাশার মাত্রা বেশি। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত অ্যাশেজ সিরিজে ভরাডুবির পর বরখাস্ত হন তখনকার প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড। সূচির ব্যস্ততায় একাধিক সীমিত ওভারের সিরিজে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি।

আগামী এক বছর ইংল্যান্ডের সামনে বেশ ব্যস্ত সূচি। ২০২১-২২ শীতকালীন মৌসুমে ইংল্যান্ডের আলাদা ৬টি সফর আছে। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝামাঝি হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। স্বাভাবিকভাবে তাই দুই সিরিজে আলাদা দুটি দল প্রয়োজন হবে।

ক্রিকইনফোর গত শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, টেস্ট দলের কোচের জন্য প্রার্থী হতে পারেন গ্রাহাম ফোর্ড। ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কাউন্টি দল কেন্টে কাজ করার সময় রব কির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় তার। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গ্যারি কারস্টেন, পল কলিংউড, সাইমন ক্যাটিচ ও টম মুডির কথাও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। 

সহকারী কোচ কলিংউড এই বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেন। দুটি সিরিজই হারে ইংল্যান্ড।