পারভেজ রাসুলের বোলিং দ্যুতিতে আবাহনীকে হারাল শেখ জামাল

আগের ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ছিলেন দলের জয়ের নায়ক। এবার ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন পারভেজ রাসুল। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আবাহনী লিমিটেডকে অল্পতে গুটিয়ে দারুণ জয় তুলে নিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2022, 11:30 AM
Updated : 8 April 2022, 11:30 AM

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে আবাহনীকে ৫ উইকেটে হারায় শেখ জামাল। প্রতিযোগিতাটির সফলতম দলের ১৭৭ রান তাড়ায় তাদের খেলতে হয় ৪৯তম ওভার পর্যন্ত। জেতে ৮ বল বাকি থাকতে।

রান তাড়ায় অপরাজিত ফিফটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রবিউল ইসলাম।

আবাহনীকে দুইশর আগে আটকে দেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাসুলের। স্পিন সহায়ক উইকেটে ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতীয় এই অলরাউন্ডারই ম্যাচের সেরা। তার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের আগের সেরা বোলিং ছিল ৬২ রান দিয়ে ৫ উইকেট।

গত রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বল হাতে ৪ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন রাসুল।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীকে শুরুতেই চেপে ধরেন রাসুল। নিজের তৃতীয় ওভারে নেন জোড়া উইকেট। অফ স্পিনে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে এলবিডব্লিউ করার পর ফিরিয়ে দেন স্বদেশি হনুমা বিহারিকে।

৪ চারে ২৫ রান করা মুনিম শাহরিয়ার কয়েক ওভার পর রাসুলের বলে হয়ে যান স্টাম্পড। মোসাদ্দেক হোসেনকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি সানজামুল ইসলাম। আফিফ হোসেনকে টিকতে দেননি রাসুল।

৮১ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন জাকের আলি ও শামীম হোসেন। জমে যাওয়া ৫৫ রানের এই জুটি ভাঙে অনেকটা সময় উইকেটে কাটানো জাকেরের (৩২) বিদায়ে।

৬৭ বলে ফিফটি করার পর আর টিকতে পারেননি শামীম (৮ চারে ৫১)। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ১৫ রান করেন তানভীর ইসলাম।

আরাফাত সানিকে ফিরিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট পূর্ণ করার সঙ্গে আবাহনীর ইনিংস গুটিয়ে দেন রাসুল।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয় শেখ জামালের। সৈকত আলি ও সাইফ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৪ রান। এরপর দ্রুত দুই উইকেটের পতনে ভাটা পড়ে দলটির রানের গতিতে।

তানভীরের বাঁহাতি স্পিন ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ (১৯)। পরের ওভারে যুব বিশ্বকাপজয়ী পেসার তানজিম হাসানের শর্ট বল হুক করে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন সৈকত (৪ চারে ২৪) ।

ইমরুল কায়েস ও জহুরুল ইসলাম দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নেন কিছুটা। ৪৪ রানের এই জুটি ভাঙে জহুরুল রান আউট হলে। আফিফের বলে স্টাম্পড হয়ে যান ইমরুল (২৬)। পরে রাসুলকেও দ্রুত ফেরান আফিফ।

এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি রবিউল ও তাইবুর রহমান। ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আফিফকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রবিউল।

৮৫ বলে ফিফটি করে রবিউল অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রান করে। তার ৮৮ বলের ইনিংসে ২ ছক্কার সঙ্গে চার ৫টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী লিমিটেড: ৪৫.৪ ওভারে ১৭৭ (মুনিম ২৫, নাঈম শেখ ৭, বিহারি ১, মোসাদ্দেক ২২, জাকের ৩২, আফিফ ২, শামীম ৫১, সাইফ উদ্দিন ৫, তানজিম ২, তানভীর ১৫*, সামি ৬; সুমন ১-০-১৮-০, রাসুল ৯.৪-২-২৯-৫, জিয়াউর ৪-০-২১-০, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-১৮-০, সাইফ ১০-০-৪২-০, সানজামুল ৭-১-২৩-২, রবিউল ১০-০-২৬-১)

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৮.৪ ওভারে ১৮২/৫ (সৈকত ১৯, সাইফ ২৪, ইমরুল ২৬, জহুরুল ২১, রবিউল ৫৭*, রাসুল ১০, তাইবুর ২০*; সাইফ উদ্দিন ৩-০-২৪-০, সানি ১০-২-৩২-০, তানভীর ১০-০-১৩-১, তানজিম ৭-০-৪০-১, মোসাদ্দেক ১০-১-৩০-০, আফিফ ৭.৪-১-৩৮-২, শামীম ১-০-৫-০)

ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ রাসুল