৩২০ রানের মধ্যে দ. আফ্রিকাকে থামাতে চায় বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার শতরানের উদ্বোধনী জুটির পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে খুশি রাসেল ডমিঙ্গো। তবে মনে করিয়ে দিলেন, কাজ এখনও শেষ হয়নি। ৩২০ রানের মধ্যে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি দেখতে চান তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2022, 06:03 PM
Updated : 31 March 2022, 06:03 PM

ডারবানের কিংসমিডে বৃহস্পতিবার ৪ উইকেটে ২৩৩ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিজে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি। এরপর আসবেন অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার ও বোলাররা।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানালেন, দ্বিতীয় দিনে বোলারদের কাছে কী চান তিনি।

“আমি মনে করি, শেষ সেশনে আমরা বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছি। যদি নতুন বলে একটা কিংবা দুইটা উইকেট নিতে পারতাম খুব ভালো হতো। আমাদের যতটা সম্ভব ‘সিম্পল’ রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকালে ধারাবাহিক হতে হবে। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে কিংসমিডে প্রথম দিনে গড় রান ৫ উইকেটে ২৪০, তো এটা (বেশি) রানের মাঠ নয়। ওদের ৩০০-৩২০ রানের মধ্যে থামাতে পারলে আমরা ভালোভাবেই লড়াইয়ে থাকব।”

কোচের চাওয়া পূরণ করতে হলে দ্বিতীয় দিনে অনেক উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশের পেসারদের। প্রথম দিন নতুন বলে তারা ছিলেন পুরোপুরি অকার্যকর। লাইন ও লেংথে মোটেও ধারাবাহিক ছিলেন না তারা। হয় অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বল করেছেন, নয়তো দিয়েছেন প্যাডে। যেগুলো খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।

ডমিঙ্গো মনে করেন অনভিজ্ঞতার জন্যই এমন বোলিং হয়েছে। তার বিশ্বাস, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাবেন তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদরা।

“আমাদের (পেস) বোলিং আক্রমণ অনভিজ্ঞ। খালেদ কেবল ওর চতুর্থ টেস্ট খেলছে। ১২ ম্যাচ নিয়ে এই টেস্টে ইবাদত আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। সে শেষ টেস্ট খেলেছে সম্ভবত তিন বা চার মাস আগে।”

“আশা করি, বাজে প্রথম সেশন থেকে ছেলেরা শিক্ষা নিয়েছে। ওরা একটু স্নায়ু চাপে ভুগছিল। এমন একটা উইকেটে বোলিং করতে ওরা উন্মুখ ছিল, যেটায় ওরা ভেবেছিল ওদের জন্য কিছুটা সহায়তা আছে। ওরা কিছুটা শৃঙ্খলা হারিয়ে ফেলেছিল, তবে লাঞ্চের পর ওরা ছিল দুর্দান্ত।” 

সাইটস্ক্রিন ঠিক করতে শুরুতে দেরি আর শেষের দিকে আলোকস্বল্পতায় প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৭৬.৫ ওভার। আর ৩.১ ওভার পর দ্বিতীয় নতুন বল নিতে পারবে বাংলাদেশ।