সাকিবকে নিয়ে এত কৌতূহল মূলত তার নিজের কথার কারণেই। গত ৬ মার্চ দুবাই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাকিব বলেছিলেন, ক্রিকেট খেলার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় নেই তিনি, যেতে চান না দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এই অবস্থায় সফরে গেলে দেশের সঙ্গে গাদ্দারি ও সতীর্থদের প্রতি প্রতারণা হবে বলে মনে করেন তিনি।
এরপর তাকে নিয়ে ঝড় বয়ে যায় দেশের ক্রিকেটে। পরে তাকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রামও দেয় বিসিবি। কিন্তু সেই নাটক নতুন মোড় নেয় সপ্তাহ না ঘুরতেই। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে তিন দফা আলোচনা শেষে সাকিব জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন তিনি। দাবি করেন, মানসিকভাবে এখন তিনি বেশ ভালো অবস্থায় আছেন। পরে উড়াল দেন তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের এই সফরে।
সে সময় বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজের কোনো ম্যাচে সাকিবকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। প্রথম ওয়ানডের আগের দিন বৃহস্পতিবার তামিমের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উঠল প্রসঙ্গটি। অধিনায়ক জানালেন, বিশ্রাম দেওয়ার কোনো তথ্য তার জানা নেই।
“আমার কাছে এমন কোনো বার্তা নেই যে তাকে এক-দুইটা ম্যাচ বিশ্রাম দিতে হবে বা এমন কিছু। আমি জানি সে আমাদের দলের সঙ্গে কাছে এবং পুরো সিরিজের জন্য তাকে পাওয়া যাবে।”
“তার সঙ্গে আমার সাধারণ ক্রিকেট নিয়েই আলাপ হয়েছে। কালকের ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছে। সে চায় আমরা যেন সবাই মিলে ভালো করি। তাছাড়া অন্য কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।”
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে।