‘আমরা ইতিহাস গড়েছি’

এ যেন ঘোষণা দিয়েই জয়। ম্যাচের আগের দিন নিগার সুলতানা বলেছিলেন, পাকিস্তানকে হারাতে চান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা যেমন, মাঠে দলের কাজও তেমন। কাঙ্ক্ষিত সেই জয়ের দেখা পেয়ে বাংলাদেশ দলে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের জোয়ার। ম্যাচের পর নিগারের কণ্ঠে গর্বিত উচ্চারণ, ‘আজ ইতিহাস গড়ার দিন।’

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2022, 07:33 AM
Updated : 14 March 2022, 08:42 AM

ইতিহাস তারা গড়েছেন বটে। পাকিস্তানকে হারিয়ে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা।

প্রথম সবকিছুই একেকটি মাইলফলক। এটির স্বাদ অনির্বচনীয়। ম্যাচ শেষে নিগারের কণ্ঠে ফুটে উঠল সেই উচ্ছ্বাস।

“(আনন্দ) ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয়। আজকে ইতিহাস গড়ার দিন, আমরা গড়েছি। এই মোমেন্টাম আমরা টুর্নামেন্ট জুড়ে বয়ে নিতে চাই।”

বাংলাদেশের একটি ট্যাকটিকাল পরিবর্তন এ দিন কাজে লেগে যায় দারুণ ভাবে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার লতা মণ্ডলের জায়গায় একাদশে আনা হয় লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ফাহিমা খাতুনকে। সেই ফাহিমাই দারুণ বোলিংয়ে ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়।

এক পর্যায়ে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৪৯ বলে স্রেফ ৫২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ফাহিমা তখন দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে নেন। অপর প্রান্তে জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদও নেন উইকেট। ৫ রানের মধ্যে পাকিস্তান হারায় ৫ উইকেট। সেই ধাক্কাতেই শেষ তাদের সম্ভাবনা।

নিগার জানালেন, হ্যামিল্টনের উইকেটের আচরণ ভাবনায় রেখেই ফাহিমাকে একাদশে আনা হয়।

“এখানকার দুটি ম্যাচ আমি দেখেছি। খেয়াল করেছি, স্পিনাররা এখানে সুবিধা পায়। আমার মনে হয়েছে, সে যদি নিজের সেরাটা দিতে পারে, আমরা তাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারি।”

গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার হারাল মূল আসরেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় এলো টানা তিন ম্যাচে। এই জয়ের বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই এবার সামনে এগিয়ে যেতে চান নিগার।

“আমরা পাকিস্তানকে খুব ভালো করে জানি। পরস্পরের সঙ্গে অনেক খেলেছি আমরা। সবশেষ স্মৃতিও দারুণ, বাছাইপর্বে ওদেরকে শেষ ওভারে হারিয়েছিলাম। আজকের জয়ও রোমাঞ্চকর। মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এখন সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”

“জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। এরকম কিছুই আমরা চাচ্ছিলাম। এই মোমেন্টামই আমরা চাচ্ছিলাম। আমাদের দলটি ভালো, ক্রমে উন্নতি করছি। আমরা জানি যে আমাদের সামর্থ্য আছে।”