সিরিজের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ ম‍্যাচে হেরে ভীষণ হতাশ তামিম

প্রথম দুই ম‍্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত হলেও পূর্ণ ৩০ পয়েন্টের লক্ষ‍্য পূরণ করতে তৃতীয় ম‍্যাচটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল তামিম ইকবালের কাছে। এই ম‍্যাচেই কি-না তিন বিভাগে ব‍্যর্থ হলো বাংলাদেশ। ব‍্যাটিং হলো খুব খারাপ, বোলিং হলো সাদামাটা আর ফিল্ডিং হলো বেশ বাজে। তাতে সিরিজ জয়ের পরও তামিমের কণ্ঠে ফুটে উঠল একরাশ হতাশা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2022, 01:47 PM
Updated : 28 Feb 2022, 01:47 PM

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হওয়ায় প্রতিটি সিরিজের প্রতি ম‍্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আগের মতো সিরিজ নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পরের ম‍্যাচ এখন আর স্রেফ নিয়মরক্ষার নয়।

সুপার লিগে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ হেরেছে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম‍্যাচে। পাঁচ সিরিজের দুটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে প্রতিপক্ষকে। একটিতে নিউ জিল‍্যান্ডের বিপক্ষে নিজেরা হয়েছে হোয়াইটওয়াশড।

গত বছর দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও একই দশা হয়েছিল বাংলাদেশের। সেবার প্রথম দুই ম‍্যাচ জেতার পর তৃতীয়টিতে ৯৭ রানে হেরে যায় তামিমের দল। এবার যেভাবেই হোক সেই পরিস্থিতি এড়াতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু পারেননি তিনি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ম‍্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিমের কণ্ঠে ঝরে পড়ল হতাশা।

“আমার যতদূর মনে পড়ে, এই সুপার লিগে আমরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও একই পরিস্থিতিতে ছিলাম। সেখানেও প্রথম দুই ম‍্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম‍্যাচ ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। আজ আমরা ম‍্যাচটা খুব ভালোভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম। আগের ম‍্যাচে চমৎকার ক্রিকেট খেলার পর আজ দুর্ভাগ‍্যজনকভাবে (ভালো করতে পারিনি)। আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে ছন্দ হারিয়ে ফেলি।”

“সত‍্যি বলতে আমার কাছে, সিরিজে এটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম‍্যাচ। যদিও আমরা সিরিজ জিতেছি, কিন্তু লক্ষ‍্য ছিল এখান থেকে সর্বোচ্চ যত পয়েন্ট নেওয়া সম্ভব, সেটা নেওয়ার।”

সুপার লিগে তামিমদের সামনের তিন সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল‍্যান্ড ও আয়ারল‍্যান্ডের বিপক্ষে। এর মধ্যে বিশ্ব চ‍্যাম্পিয়ন ইংল‍্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দেশের মাটিতে, অন‍্য দুটি প্রতিপক্ষের মাঠে। তাই নিজেদের এগিয়ে রাখতে আফগানিস্তান সিরিজ থেকে পুরো ৩০ পয়েন্টই চেয়েছিলেন তামিম।

সেটি করতে না পারার একটি কারণ কি উইকেটের আচরণ বদল? তা একেবারেই উড়িয়ে দিলেন তামিম। 

“না, না, না উইকেট একেবারেই কোনো অজুহাত নয়। আমার মনে হয়, প্রথম ২০ ওভারে বল কিছুটা সহয়তা পাচ্ছিল। সে সময় আমাদের রান ছিল ১ উইকেটে ১০০। কঠোর পরিশ্রম করলাম, কিন্তু যখন উইকেট ভালো হয়ে গেল সে সময় ছন্দ হারিয়ে ফেললাম।”

১ উইকেটে ১০৪ রান থেকে ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিনবার জীবন পাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে সেই রান ৫৯ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান।