বিপিএলের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২০ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রান ৯ উইকেট ১৫১।
ইনিংসের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, তাতে এই রান যথেষ্টই কম। তবে মাঝপথে অবস্থা যা ছিল, তাতে শেষের স্কোরে খানিকটা স্বস্তিই পাওয়ার কথা কুমিল্লার।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১৩ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়া নারাইন সেই ফর্ম ধরে রাখেন ফাইনালেও। এবার তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৫৭।
ওপেনিংয়ে নারাইনের অমন ইনিংসের পরও কুমিল্লার রান এক পর্যায়ে হয়ে যায় ৬ উইকেট ৯৫। সেখান থেকে মইন আলি ও আবু হায়দার রনির ৫৪ রানের জুটিতে দেড়শ ছাড়ায় দল।
কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। এবারের বিপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচে টসজয়ী দল আগে বোলিং করলেও টস জিতে এ দিন ইমরুল কায়েস বলেন, ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে আগে ব্যাট করে বড় স্কোর গড়তে চান তারা। সেই চাওয়া পূরণের পথে নারাইন দলকে এনে দেন উড়ন্ত শুরু।
মুজিব উর রহমানের প্রথম ওভারে ১৮ রান নিয়ে শুরু, নারাইনের ব্যাটিং তাণ্ডবে শফিকুল ইসলামের করা পরের ওভার থেকেও আসে ১৮ রান।
তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে বাজে এক শটে উইকেট হারান লিটন দাস। তবে নারাইন ছুটতে থাকেন। পঞ্চম ওভারে তিনি পৌঁছে যান ফিফটিতে, স্রেফ ২১ বলে। পরের ওভারে মেহেদী হাসান রানাকে ওড়ান ছক্কায়।
ওই ওভারেই শেষ হয় তার ইনিংস। আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় রানার স্লোয়ারে ধরা পড়েন তিনি লং অন সীমানায়।
নারাইনের বিদায় দিয়ে মড়ক লাগে কুমিল্লার ইনিংসে। ডোয়াইন ব্রাভোর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। ফাফ দু প্লেসি ফিরতি ক্যাচ দেন মুজিবকে। ব্রাভোর বাউন্সারে উইকেট হারান ইমরুল। মুজিবের গুগলিতে পুরো বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড আরিফুল হক।
২৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস তখন প্রায় ধ্বংসস্তুপ। দেড়শ রানও বেশ দূরের পথ।
ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে দলকে উদ্ধার করে সেই পথে নিয়ে যান মইন ও আবু হায়দার। শেষ দিকে রানের গতি একটু বাড়ান মইন। শেষ ওভারে রান আউট হন তিনি ৩২ বলে ৩৮ রান করে। আবু হায়দার করেন ২৭ বলে ১৯।
শেষ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে রান আরেকটু বাড়াতে পারেনি কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৫১/৯ (নারাইন ৫৭, লিটন ৪, মাহমুদুল ৮, দু প্লেসি ৪, ইমরুল ১২, মইন ৩৮, আরিফুল ০, আবু হায়দার ১৯, শহিদুল ০, তানভির ০*, মুস্তাফিজ ০*; মুজিব ৪-০-২৭-২, শফিকুল ৪-০-৩১-২, সাকিব ৪-০-৩০-১, ব্রাভো ৪-০-২৬-১, মেহেদি রানা ৪-০-৩৪-১)।