বিপিএল ফাইনালে শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলে ২১ বলে ফিফটি করেন নারাইন। গত বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৩ বলে ফিফটি করে তিনি গড়েছিলেন বিপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
সেই ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, ফাইনালে যেন সেখান থেকেই শুরু করেন নারাইন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা। প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় নারাইনের ছুটে চলা। দুই ছক্কা ও এক চারে বরিশালের নতুন বলের ট্রাম্প কার্ড মুজিব উর রহমানের প্রথম ওভার থেকে নেন ১৮ রান।
পরের ওভারে বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আর হাসান আক্রমণে আনেন শফিকুল ইসলামের বাঁহাতি পেস। কিন্তু চিত্র সেই একই। আবারও নারাইনের দুই ছক্কা, এক চারে ওভার থেকে ১৮ রান।
এরপর সাকিব ও ডোয়াইন ব্রাভোর ওভার থেকে রান একটু কম আসে। ব্রাভোর ফুল টসে অবশ্য একটি চার পেয়ে যান নারাইন। পরের ওভারে নারাইনের রুদ্ররূপের সামনে পার পাননি সাকিবও। টানা দুই বলে বাউন্ডারির পর আরেক ডেলিভারিতে তিন রান নিয়ে নারাইন পা রাখেন ফিফটিতে।
পরের ওভারে মেহেদি হাসান রানার লেংথ বল উড়িয়ে মারেন তিনি লং অফের ওপর দিয়ে। এরপরই শেষ নারাইনের রোমাঞ্চকর যাত্রা। রানার স্লোয়ার ডেলিভারি আকাশে উঠিয়ে ধরা পড়েন লং অন সীমানায় নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
৫টি করে চার ও ছক্কার ইনিংস থামে ২৩ বলে ৫৭ রানে।