মিরাজের অধিনায়কত্ব বদলের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল, ঠিক একইভাবে আফিফকে অধিনায়ক করার ক্ষেত্রেও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি চট্টগ্রাম। মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে মঙ্গলবার বিস্ময় ছড়িয়ে টস করতে নামেন আফিফ।
টসের সময় ধারাভাষ্যকার এড রেইন্সফোর্ড নিজেও চমকে গেছেন জানিয়ে প্রশ্ন করেন, নাঈমের চোট সমস্যা আছে কিনা। আফিফ বলেন, “ইনজুরি নেই, নাঈম ভাই খেলছেন না।”
মিরাজ ও নাঈমের নেতৃত্বের অধ্যায় শেষ হলো তাই সমান ৪টি করে ম্যাচে। প্রথম ৪ ম্যাচে মিরাজের নেতৃত্বে সমান ২টি করে জয়-হার ছিল চট্টগ্রামের। পরে নাঈমের নেতৃত্বে জয় দিয়ে শুরু হলেও হেরে যায় পরের ৩ ম্যাচ। মিরাজের নিজের পারফরম্যান্সও ছিল বেশ ভালো। তার পরও নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন। নাঈমের সেখানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও বলার মতো নয়। অধিনায়কত্বের ৪ ম্যাচে তার রান ৮, ৮, ০ ও ৩।
নাঈমকে এবার ড্রাফট থেকে চট্টগ্রামের দলে নেওয়া ও পরে নেতৃত্ব দেওয়া, সবই ছিল অবাক করার। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্য প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বরাবরই। এই আসরের আগে বিপিএলে তিনি সবশেষ খেলেছিলেন সেই ২০১৬ সালে। এবার খেলে ফেললেন ৮ ম্যাচ।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্ব বরাবরই অবশ্য ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলার মতো। গত আসরে তাদেরকে প্রথম নেতৃত্ব দেন ক্যারিবিয়ান রায়াদ এমরিট। পরে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহান হয়ে শেষটায় আবার নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ।
এবারও তিন অধিনায়ককে দেখা হয়ে গেল।