এবারের বিপিএলে সিলেট সানরাইজার্স দলটা গড়া মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের নিয়ে। অভিজ্ঞ মিঠুনের ওপর নির্ভরতা তাই ছিল অনেক বেশি। তবে দলের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছিলেন না তিনি। প্রথম ৪ ম্যাচ মিলিয়ে তার রান ছিল মাত্র ৩৫।
সেই ব্যর্থতার অধ্যায় পেছনে ফেলে বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। দলের বিপর্যয়ে নেমে ৫১ বলে ৭১ রান করেন ৪ ছক্কা ও ৬ চারে।
ইনগ্রাম নিজে এ দিন টিকতে পারেননি ক্রিজে। বাইরে থেকে উপভোগ করেন মিঠুনের ব্যাটিং। অনুশীলনেও খেয়াল করছিলেন তিনি মিঠুনকে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার বললেন, রান পাওয়ার পর সতীর্থের মুখের হাসিতে তার প্রাণ জুড়িয়ে গেছে।
“মিঠুন আজকে দারুণ খেলেছে। তার ব্যাটের হাত দারুণ। আমি তাকে নেটে দেখেছি কয়েকটা দিক নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে। আজকে তার মুখে হাসি দেখে দারুণ খেলছে। প্রথম কয়েক ম্যাচে সে রান পায়নি। আজ তাকে এভাবে খেলতে দেখা ছিল স্পেশাল। খুবই প্রতিভাবান সে। মাঝব্যাটে বল হিট করে প্রচুর, যা সবসময়ই ভালো ব্যাপার।”
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের শুরুটা এ দিন ভালো ছিল না মোটেও। দুই ওপেনার মন্থর শুরুর পর বিদায় নেন। চারে নেমে ইনগ্রামও সুবিধা করতে পারেননি। নবম ওভারে দলের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৪।
সেখান থেকে দলকে টেনে নেন মিঠুন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। শুরুতে একটু সময় নিয়ে উইকেট আগলে রাখেন তিনি, পরে দুর্দান্ত সব শটে দ্রুত বাড়ান রান।
পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে যেভাবে ইনিংসটি গড়েছেন মিঠুন, সেটি মুগ্ধ করেছে ইনগ্রামকে।
“ইনিংসটি অসাধারণ, বিশেষ করে ওই পরিস্থিতির কারণে। দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে যায় আমাদের, পিচও ছিল খানিকটা ট্রিকি। ওই সময়টায় টিকে থাকা এবং পরে তার হিটিং সামর্থ্য ও শক্তি দেখাতে পারা, বাউন্ডারির ফিল্ডারদের পরীক্ষা নেওয়া দারুণ ব্যাপার। দারুণ কিছু চার-ছক্কা সে মেরেছে।”
“সে এখন ভালো ব্যাট করছে, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে, আশা করি সামনের পথচলায় আমাদের জন্য এটা দারুণ হবে।”
মিঠুনের দারুণ ইনিংসের পরও অবশ্য ম্যাচ জমাতে পারেনি সিলেট। বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৪২ রানের পুঁজি গড়তে পারলেও আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিংয়ে খুলনা ম্যাচ জিতে যায় ৯ উইকেটে।