আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত আবির্ভাবের পর গত আইপিএলের নিলামে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় জেমিসনকে। নিলামের টেবিলে পারিশ্রমিকের দরও তাই বেড়ে যায় তরতর করে।
মাঠের ক্রিকেটে অবশ্য প্রত্যাশা তিনি পূরণ করতে পারেননি। বেঙ্গালোরের ১৫ ম্যাচের ৯টিতে খেলতে পারেন তিনি। ওভারপ্রতি ৯.৬০ রান করে দিয়ে নিতে পারেন মোটে ৯ উইকেট।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স যথেষ্টই ভালো। গতবারের মতো না হলেও নিলামে এবারও কিছুটা আগ্রহ তাকে ঘিরে থাকতে পারত।
তবে জেমিসনের নিজের আগ্রহ আপাতত ঘরে থাকায়। কোভিড মহামারীর সময়ে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। ঘরোয়া প্লাঙ্কেট শিল্ড টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেমিসন বললেন, আইপিএলের সময়টা কাটাতে চান পরিবারের সঙ্গে।
“দুটি ব্যাপার আছে এখানে (নিলামে না থাকার কারণ)। প্রথমত, গত ১২ মাসে এমআইকিউ (ম্যানেজড আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন), সুরক্ষা বলয় এবং এইরকম পরিবেশে অনেক সময় কাটাতে হয়েছে। আগামী ১২ মাসের সূচিতে তাকিয়ে মনে হয়েছে, ওই ৬-৮ সপ্তাহ সময় (আইপিএলের) বাড়িতে থাকতে পারি।”
শুধু বিশ্রামই নয়, এই সময়টায় নিজের খেলাকেও পরের ধাপে নেওয়ার কাজ করতে চান তিনি।
“দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো, গত ১২-২৪ মাসে তাকিয়ে মনে হয়েছে, আমি এখনও অনেক তরুণ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই বছর কাটানোর পর মনে হচ্ছে, নিজের খেলা নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এই সময়ে যেখানে থাকা উচিত ছিল, সেখানে এখনও যেতে পারিনি এবং নিউ জিল্যান্ড দলে সব সংস্করণেই জায়গার জন্য লড়তে হলে, সবসময় শুধু ম্যাচ না খেলে নিজের খেলা নিয়ে কাজ করা উচিত।”
“বাড়িতে সময় কাটানো আর নিজের খেলা নিয়ে কাজ করার জন্যই তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে এই সিদ্ধান্ত স্রেফ এবারের আইপিএলের জন্যই। ভবিষ্যতে নিজেকে এই টুর্নামেন্টে দেখতে চান জেমিসন।
“আমি এখনও বেশ তরুণ। বয়স এখনও ২৭, সামনে কয়েক বছর সময় আছে। এটা (নিলামে না থাকা) স্রেফ এই বছরের জন্য। সামনে তাকিয়ে অবশ্যই আশা করব, এই টুর্নামেন্টে আবার নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাব এবং ওই আবহে নিজেকে দেখতে পাব।”