অসুস্থতা কাটিয়ে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি সিমন্স। জ্বলে উঠলেন তিনি দ্বিতীয় ম্যাচেই।
মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে শুক্রবার শুরুতে একটু সময় নিয়ে ৩৪ বলে করলেন ফিফটি, পরে রানের গতি বাড়িয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করলেন ৫৯ বলে। শেষ পর্যন্ত নিজের আগের সেরা স্কোর ছাড়িয়ে করলেন ১১৬ রান।
৬৫ বলের ইনিংসে পাঁচ ছক্কার পাশে চার ১৪টি।
২৮৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সেঞ্চুরি ছিল আগে একটিই। ২০১৪ আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে করেছিলেন অপরাজিত ১০০।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটকে এ দিন বলতে গেলে দলকে একাই টানেন সিমন্স। আর কেউ যেতে পারেননি ২০ পর্যন্তও।
প্রথম তিন ওভারে যদিও অনেকটা দর্শক হয়ে ছিলেন সিমন্স। প্রথম ১০ বলে তার রান ছিল ৬। চতুর্থ ওভারে রুবেল হোসেনকে জোড়া বাউন্ডারি মেরে ডানা মেলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সতীর্থ আন্দ্রে রাসেলের পরের ওভারে মারেন তিন চার। এরপর কেবলই এগিয়ে চলার পালা।
আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছে ঢাকা। সিলেটের ইনিংসে রাশ তবু টেনে ধরতে পারেনি তারা। বলা ভালো, পারেনি সিমন্সের চমৎকার ব্যাটিংয়ের জন্য।
আফগান লেগ স্পিনার কাইসকে ছক্কা হাঁকানোর পর রাসেলকে জোড়া চার মেরে এই ওপেনার পৌঁছান পঞ্চাশে। সেই ওভারেই রাসেলের বল উড়িয়ে মারেন সীমানার বাইরে।
কাইসকে ছক্কায় ওড়িয়ে ছাড়িয়ে যান বিপিএলে নিজের আগের সেরা ৭৩। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ওই ইনিংস খেলেছিলেন সিমন্স।
অষ্টাদশ ওভারে ইবাদতকে টানা দুই বাউন্ডারিতে তিনি স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরির পরও কী থামানো যায় তাকে! রাসেলের ওপর আবার ঝড় বইয়ে দেন তিনি। টানা তিন বলে মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। পরের বলে আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েন সীমানায়। চমৎকার ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল।
সিমন্সের ইনিংসটির সৌজন্যেই মূলত ২০ ওভারে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়তে পারে সিলেট।