জাতীয় লিগের গত আসরে ১৯.১২ গড়ে ৩২ উইকেট নেন নাজমুল। তার সমান উইকেট পেয়েছিলেন নাঈম হাসানও। তাদের চেয়ে বেশি উইকেট ছিল কেবল চট্টগ্রাম বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের।
এবারের বিপিএলে সিলেট সানরাজাইর্সের হয়ে এখন পর্যন্ত সফল নাজমুল। ২৯ বছর বয়সী এই স্পিনার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে ১৮ রানে নিলেন ৪ উইকেট। দলের প্রথম জয়ে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মিরপুরে মঙ্গলবার তারকা খচিত ঢাকাকে ১০০ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় বড় অবদান ছিল নাজমুলের। মোহাম্মদ নাঈম শেখকে বিদায় করার পর ছোবল দেন মিডল অর্ডারে। বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ, আন্দ্রে রাসেল ও শুভাগত হোম চৌধুরিকে।
১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ের পর নাজমুল বলেন, জাতীয় লিগ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়েই সাফল্য মিলছে বিপিএলে।
“অনুভূতি তো খুব ভালো। এবারের এনসিএলেও আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলাম (আসলে তৃতীয়)। সেখান থেকেই ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল। অনুশীলন কাজে লেগেছে। আমি চেষ্টা করেছি, উইকেট টু উইকেট বল করতে। কারণ, উইকেটে সাহায্য ছিল।”
রোদ পাচ্ছে না শের-ই-বাংলার উইকেট। দিনের প্রথম ম্যাচে রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। এই সময়টা দারুণ সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। নাজমুল জানালেন, ঠিক জায়গায় বল করলে বাকিটুকু করে দিচ্ছে উইকেটই।
“উইকেটে কিছু হেল্প আছে। উইকেটে হিট করলে বল কিছু না কিছু করছে, হয়তো থামছে বা লাফ দিচ্ছে। তো উইকেট থেকে এই সাহায্যটা পেয়েছি।”
এক সময়ে উইকেট পেয়ে নাগিন নাচের জন্য তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন নাজমুল। সেটার সঙ্গে এবার উইকেট পেলে অনুকরণ করছেন পুস্পা সিনেমায় তামিল নায়ক আল্লু অর্জুনের ভঙ্গিমাও। এর কারণও জানালেন দেশের হয়ে তিন সংস্করণেই খেলা নাজমুল।
“পুস্পা সিনেমাটা দেখেছি। তো সেখানে ও (আল্লু) সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। আমিও সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আসলে ক্রিকেট খেলাটাই এমন, এখানে সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। তাই নাগিনের সাথে এটাও যোগ করে নিয়েছি।”