ধর্ষণের মামলা থেকে ইয়াসিরের মুক্তি

গুরুতর এক অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ইয়াসির শাহ। এক কিশোরীকে ধর্ষণে বন্ধুকে সহযোগিতা ও বিষয়টা ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তবে বাদী তার আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করায় রেহাই পেলেন পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2022, 05:16 PM
Updated : 12 Jan 2022, 05:16 PM

গত ডিসেম্বরে ইয়াসির ও তার বন্ধু ফারহানের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের শালিমার থানায় এফআইআর করেন মেয়েটির খালা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর বুধবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারীরা তাদের পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ।

“ভুক্তভোগী স্বীকার করেছেন, ইয়াসির শাহের নাম ভুল বর্ণনার কারণে এফআইআরে যুক্ত হয়েছিল। ধর্ষণ মামলার সঙ্গে ইয়াসির শাহের কোনো সম্পর্ক নেই।”

আগের এফআইআর অনুযায়ী, ফারহান অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটির মোবাইল নাম্বার নেয় এবং বন্ধুত্ব করে। দুই জনের সঙ্গেই ইয়াসিরের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ ছিল।

প্রথম অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৪ অগাস্ট ফারহান অস্ত্রের মুখে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং সে ঘটনা ভিডিও করেও রাখে। এই ঘটনা কাউকে বললে ভিডিওটি ভাইরাল করে দেওয়া এবং মেয়েটিকে হত্যার হুমকিও দেয় ফারহান।

তখন অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, তিনি পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দিলে ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার ইয়াসির তাকে বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। এরপর প্রস্তাব দেন, যদি তিনি ফারহানের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেন তাহলে ইয়াসির মেয়েটিকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিবেন এবং ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত মাসিক একটা ভাতা দিবেন।

এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি খেলা ইয়াসির।

ক্রিকইনফোর খবর, এই সপ্তাহের শুরুতে জেলা ও দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর ফারহান আদালত থেকে পালিয়ে যান।