টেস্ট দলে জায়গা পাকা করার লড়াইয়ে থাকা ইয়াসির ক্যারিয়ারে দেখা পান প্রথম ফিফটির। ৭ চারে তিনি করেন ৫৫। মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে একাদশে ফেরা সোহান আউট হন ৪১ রানে।
দুইজন মিলে করেন ৯৬ রান, দলের বাকি সবাই ও অতিরিক্ত মিলে রান ৩০! এই দুজন ছাড়া দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কেউ।
ইয়াসির ও সোহান যখন জুটি বাঁধেন, ২৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছে দল। সেখান থেকে খানিকটা মান বাঁচানো যায় এই দুজনের ৬০ রানের জুটিতে।
৫ বছর আগে এই মাঠেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সোহানের। সেবারও মুশফিকুর রহিমের চোট সুযোগ করে দিয়েছিল তাকে। অভিষেকে ৪৭ রানের লড়িয়ে ইনিংস তিনি খেলেছিলেন। এ দিনও চরম বিপর্যয়ের মধ্যে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
বরাবরই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে আসা সোহানের এই দিকটিই বেশি ভালো লেগেছে, দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন ব্যাটিং কোচ প্রিন্স।
“সোহান ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে। বোলারের দিকে সামনে এগিয়ে খেলেছে সে। সামনের পা বলের পিচে নিয়ে এবং বলের ওপর চড়ে খেলেছে।”
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চাশের বেশি গড় নিয়ে টেস্ট অভিষিক্ত ইয়াসির গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে কিছুটা ঝলক দেখিয়েছিলেন। পরে তাকে বাইরে যেতে হয় হেলমেটে বল লাগায়।
এরপর এবার নিউ জিল্যান্ডে প্রথম টেস্টে লম্বা সময় উইকেটে থেকে আউট হন আলগা শটে। তৃতীয় টেস্টে তিনি পেলেন প্রথম ফিফটির স্বাদ। ব্যাটিং কোচ দারুণ খুশি তাকে দেখেও।
“ইয়াসির মাত্র তার তৃতীয় টেস্ট খেলছে। মাউন্টে (আগের টেস্টে) দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেগ স্টাম্পের বলে ক্যাচ হয়েছে। ওই ম্যাচে সে দারুণ নিবেদন দেখিয়েছে, আজকেও। ডিফেন্সে সে দৃঢ় ছিল, আক্রমণে ছিল পরিষ্কার।”
“এই ধরনের পিচে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বল ছাড়তে হবে। রক্ষণাত্মক হোক বা আক্রমণাত্মক, শট খেলায় সুস্পষ্ট থাকতে হবে মানসিকতায়। পথ যেটাই হোক, নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে।”