আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শনিবার ব্রুকস এলবিডব্লিউ হন সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে। চারে নামা ব্যাটসম্যান দলের বিপর্যয়ে খেলেন ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংস।
ব্রুকসের আগে ৫ জন ব্যাটসম্যানের অভিজ্ঞতা আছে প্রথম ওয়ানডেতে নব্বই ছুঁয়েও শতরান পর্যন্ত যেতে না পারার।
সবার আগে এই স্বাদ পেয়েছিলেন স্টিভেন ফ্লেমিং। ১৯৯৪ সালে নেপিয়ারে ভারতের বিপক্ষে চারে নেমে সাবেক নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছিলেন ৯০ রানে।
এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে আবার তেমন কিছু দেখা যায় এক যুগ পরে। ২০০৬ সালে অভিষেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৪ রানে কট বিহাইন্ড হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফিল জ্যাকস।
ওয়ানডে অভিষেকে ৯৯ রানে আউট হওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান এখনও পর্যন্ত ওয়েন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ওয়ানডে অভিষেক জন্মভূমি আয়ারল্যান্ডের হয়ে, ২০০৬ সালে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ইনিংসের শেষ ওভারে তিনি রান আউট হয়ে যান শতরানের ১ রানের দূরত্বে।
স্বপ্নীল পাতিলের আক্ষেপটাও প্রায় একইরকমের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০১৪ সালে সেঞ্চুরি করতে ম্যাচের শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল তার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যান করতে পারেন ১ রান। ওয়ানডে অভিষেকে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনিই।
ব্রুকসের আগে অভিষেকে নব্বইয়ে আটকে পড়ার সবশেষ ঘটনাটি দুই বছর আগের। পাকিস্তানের বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে ২০১৯ সালে রাসি ফন ডার ডাসেন ৯৩ রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন হাসান আলির ফুল টসে।
এবার ব্রুকসও আউট হলেন ৯৩ রানেই।
দলের জয়ের ম্যাচ সেরা পুরস্কার অবশ্য পেয়েছেন ব্রুকস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়া চতুর্থ ক্রিকেটার তিনি।
প্রথম এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ডেসমন্ড হেইন্স। ১৯৭৮ সালে অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৬ বলে ১৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন সাবেক ওপেনার। অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংসের সেই বিশ্বরেকর্ড টিকে আছে এখনও। ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানও তিনিই।
এরপর ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই অভিষেকে ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন বারবাডোজের পেসার হেন্ডারসন ব্রায়ান। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা হন ফিডেল এডওয়ার্ডস।