চলমান এই বিতর্কের কেন্দ্রীয় চরিত্রদের একজন প্রধান নির্বাচক এতদিন এটি নিয়ে মুখ খোলেননি। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের ওয়ানডে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তাকে পেয়ে সংবাদকর্মীরা টেনে আনেন কোহলির প্রসঙ্গ।
চেতনের দাবি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাদের সঙ্গে বৈঠকে কোহলি এই সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বললেও তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন অনেক। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে নড়ানো যায়নি কোহলিকে।
“বৈঠক শুরু হওয়ার পর এটি (কোহলির সিদ্ধান্ত) সবার জন্যই বিস্ময় হয়ে আসে। কারণ, বিশ্বকাপ তখন একদমই কাছে এবং তখন এরকম কিছু শুনলে সাধারণ কারও প্রতিক্রিয়া কেমন হয়! সভায় উপস্থিত সবাই তাকে পুনর্বিবেচনা করার, আবার ভাবার অনুরোধ করে বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর এসব নিয়ে আলাপ করা যাবে।”
“নির্বাচকদের সবারই মনে হয়েছিল, এসব আলোচনা বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থেই বিরাটকে অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিকল্পনা তো তারই। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে আমাদের।”
গত বিশ্বকাপ দিয়েই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বকে বিদায় জানান কোহলি। বিশ্বকাপের পরে তাকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দিয়ে সাদা বলের দুই সংস্করণেই অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে।
ভারতীয় বোর্ডের প্রধান সৌরভ তখন বলেছিলেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে বলা হলেও সেই অনুরোধ রাখেননি। তাই বাধ্য হয়ে ওয়ানডের নেতৃত্বেও তারা বদল আনেন, কারণ সাদা বলের দুই সংস্করণে একজন অধিনায়কই তারা রাখতে চান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড প্রধানের দাবি উড়িয়ে দিয়ে কোহলি বলেন, কেউ তাকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে কোনোরকম অনুরোধ করেননি এবং তার সিদ্ধান্ত বোর্ড খুব ভালোভাবে নিয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেটের প্রভাবশালী দুজনের দুইরকম বক্তব্যে ছড়ায় বিভ্রান্তি। এবার চেতন শর্মার বক্তব্য গেল সৌরভের পক্ষে।
চেতন শর্মার দাবি, বিতর্ক চান না বলেই তারা চুপ থাকেন বা এতদিন চুপ ছিলেন। ভারতে নির্বাচকদের কাজ কতটা কঠিন, সেই উদাহরণ দিলেন তিনি নিউ জিল্যান্ডকে টেনে।
“আমাদের সবারই মূল লক্ষ্য একই, ভারতকে শীর্ষে রাখা। আমরা বিতর্ক চাই না। এই কারণেই আমরা প্রকাশ্য হই না। আমাদের কাজ হলো দল নির্বাচন করা, উপযুক্ত লোকটিই যেন সুযোগ পায় এবং ভারতের হয়ে খেলে। কোনো বিতর্ক হলে, ক্রিকেটারদের মতো আমাদেরও কষ্ট লাগে।”
“আমি তো মজা করে বলছিলাম, এজাজ প্যাটেল যেমন ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার পরও তাকে নিউ জিল্যান্ড বাদ দিয়েছে। ভেবে দেখুন, আমরা এরকম কিছু করলে আমাদের অবস্থা কী হতো!”