ডিসেম্বরের শুরুতে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট নেন এজাজ। মাসের শেষভাগে এসে তিনি বাদ পড়লেন দল থেকে। এর মূল কারণ, ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের সাফল্য।
গত তিন বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই মেলে তার প্রমাণ। এই সময়ে টেস্টে ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের স্পিনাররা বোলিং করেছেন মোটে ১৫২.৩ ওভার। যেখানে তাদের উইকেট কেবল সাতটি, স্ট্রাইক রেট ১৩০.৭। যার মধ্যে ১০০ ওভারের বেশি করার সুযোগ পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। আর তার একাদশে জায়গা পাওয়ার মূল কারণ, ব্যাট হাতে কার্যকর ভূমিকা রাখার সামর্থ্য।
পক্ষান্তরে, এই সময়ে নিউ জিল্যান্ডের পেসাররা বোলিং করেছেন দশ গুণের বেশি, এক হাজার ৫৬৫.৩ ওভার। উইকেট শিকারেও তারা ঢের এগিয়ে, ১৯৬টি। আর তাদের স্ট্রাইক রেট বেশ ভালো, ৪৭.৯।
ঘরের মাঠে তিন টেস্ট খেলে এজাজ ৪৯ ওভার বোলিং করে নিতে পারেননি উইকেট।
দল ঘোষণার দিন বুধবার নিউ জিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড বলেছিলেন, কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় দল সাজিয়েছেন তারা। পরদিন এজাজ জানালেন তার হতাশার কথা। একই সঙ্গে বললেন, কোচের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার।
“আমার হতাশা প্রকাশের চেয়ে বড় বিষয় এটা। কারণ আমি মনে করি, এখনও নিজেকে মেলে ধরতে হবে। এখনও আমার দেখাতে হবে যে, নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট খেলার জন্য আমি কতটা উন্মুখ।”
“গ্যারির (স্টেড) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, আমরা খোলামেলাভাবে কথা বলেছি। মাঝে মধ্যে সেগুলো খুব আনন্দদায়ক হয় না, তবে একই সঙ্গে আমরা পরস্পরের সামনে দাঁড়াতে পারি এবং জানি আমাদের অবস্থান।”
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে সব সময়ই পেসাররা রাজত্ব করে আসছে। তবে এখনকার দলে থাকা টিম সাউদি, নিল ওয়্যাগনার, ট্রেন্ট বোল্টরা নিজেদের তুলে নিয়েছেন অন্য পর্যায়ে। সঙ্গে কাইল জেমিসনের মতো তরুণরা দেখাচ্ছেন তাদের প্রতিভার ঝলক।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের নিউ জিল্যান্ড দলে একমাত্র স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। যদিও তিনি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। আর এই কারণেই তার দলে জায়গা মিলেছে। বাস্তবতা বুঝতে পারছেন কেবল ১০ গড়ে রান করা এজাজ।
“বাস্তবতা হলো, তারা (দল) ঘরের মাঠে আরও বেশি ব্যাটিং খুঁজছে এবং সেটা নিয়েই আমি কাজ করছি। আশা করি, ভালো কিছু ইনিংস খেলার সুযোগ পাব এবং নিশ্চিত করব যে, ভালো করার ক্ষুধাটা আছে।”
“এই মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা কিছু ফাস্ট বোলার আছে দলে। এটা অন্য কোনো যুগের ফাস্ট বোলারদের অসম্মান করা নয়, বরং এটাই এখন বাস্তবতা। ভবিষ্যতে এর পরিবর্তন হতে পারে যেখানে বিশেষজ্ঞ স্পিনার এই কন্ডিশনে মূল্যবান হয়ে উঠবে।”