পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সহজেই হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল প্রকৃতি। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টি মিলিয়ে টেস্টের আড়াই দিনের বেশি খেলাই হয়নি। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান তেমন কোনো রানের পাহাড়ও গড়েনি। স্রেফ ১০১ রান করলেই এড়ানো যেত ফলো-অন।
বাংলাদেশ সেই কাজটিই করতে পারেনি। শেষ দিনে ফলো-অনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পারেনি লড়াই করে ম্যাচ বাঁচাতে। চতুর্থ দিনে ৭ উইকেট হারায় তারা ২১ ওভারের মধ্যে। শেষ দিনে ৯০ ওভারে পতন হয় ১৩ উইকেটের।
যে ম্যাচে হেরে যাওয়া কঠিন, সেই ম্যাচেও হারার পথ বের করে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে দল। ম্যাচ শেষে মুমিনুল মেনে নিলেন ব্যর্থতা।
“আমার কাছে মনে হয়, পুরো হতাশার। বিশেষ করে গতকাল, এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি আমরা। কোনো অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই, খুব বাজে ব্যাটিং করেছি।”
গত কিছুদিনে দলে বেশ কজন নবীন ক্রিকেটার এসেছেন। তবে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি কেউই। অধিনায়ক এখনই আশাহত নন তাদের নিয়ে, বরং বললেন একটু সময় দিতে।
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো অত সহজ নয়। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য আছে। নতুন যারা আছে, ওদের একটু সময় দিতে হবে। নতুনদের পাশে থাকতে হবে, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এটাই আর কী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন, আপনারা সবাই জানেন।”