পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৬১/২ |
আগেভাগেই দিনের খেলার সমাপ্তি
আলোকস্বল্পতায় চা-বিরতির পর আর খেলাই সম্ভব হলো না। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতা মিলিয়ে নষ্ট হলো এক সেশনের বেশি সময়।
৩২ ওভারে ৯১ রানের জুটিতে পাকিস্তানকে টানছেন বাবর আজম ও আজহার আলি। ৩৯ রানে জীবন পাওয়া বারর খেলেছন ৬০ রানে। জোরালো কয়কটি আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়া আজহারের রান ৩৬।
দুটি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তিন বছর পর মিরপুরে টেস্ট খেলতে নেমে দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। একটি উইকেটও পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের বলে বাবরের ক্যাচ নিতে পারেননি সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হব আধা ঘন্টা আগে, সকাল সাড়ে ৯টায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৬১/২ (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৩৬*, বাবর ৬০*; ইবাদত ৯-১-২৮-০, খালেদ ৪-১-১৯-০, সাকিব ১৫-৬-৩৩-০, তাইজুল ১৭-৫-৪৯-২, মিরাজ ১২-২-৩১-০)
আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ
চা-বিরতির পর দুই দলই ফিরেছিল মাঠে। কিন্তু মাঝপথেই তাদের থামিয়ে দিলেন দুই আম্পায়ার। জানালেন, যথেষ্ট আলো না থাকায় এই মুহূর্তে খেলা শুরু সম্ভব নয়।
শুরু থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা। তখন থেকেই খেলা হচ্ছে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে।
হতাশার সেশন
বৃষ্টিতে ২৫ মিনিট খেলা কম হলেও দ্বিতীয় সেশনে ২৬ ওভার বোলিং করলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এই সময়ে তারা নিতে পারেননি কোনো উইকেট। বাবর আজম ও আজহার আলির ব্যাটে ৮৩ রান যোগ করেছে পাকিস্তান।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় সফরকারীদের স্কোর ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১।
১১২ বলে চারটি চারে ৩৬ রানে ব্যাট করছেন আজহার। ৯৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় বাবরের রান ৬০।
পাকিস্তান অধিনায়ক থামতে পারতেন ৩৯ রানে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের বলে সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
জীবন পেয়ে বাবরের ফিফটি
সৈয়দ খালেদ আহমেদের হাতে জীবন পাওয়ার পর দ্রুতই পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন বাবর আজম। ৭৫ বলে বলে সাত চার ও এক ছক্কায় এসেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ফিফটি।
তিনি জীবন পেয়েছিলেন ৩৯ রানে।
বাবরকে জীবন দিলেন খালেদ
২১ মাস পর টেস্টে ফিরে শুরুর দিনটা বাজে কাটছে সৈয়দ খালেদ আহমেদের। বোলিংয়ে খুঁজে পাননি লাইন, লেংথ। এবার ছাড়লেন বাবর আজমের ক্যাচ।
সাকিব আল হাসান ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। টাইমিং করতে পারেননি তিনি। বলের নিচে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন খালেদ। কিন্তু বলের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি তিনি। শেষ সময়ে ডাইভ দিয়ে ক্যাচের চেষ্টায় সফল হননি। উল্টো চার পেয়ে যান বাবর।
জীবন পাওয়ার সময় ৩৯ রানে ছিলেন তিনি।
২৫ মিনিট পর খেলা শুরু
বৃষ্টিতে খুব সময় নষ্ট হয়নি। ২৫ মিনিট পর ফের শুরু হয়েছে খেলা। তাইজুল ইসলামের জায়গায় বোলিংয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আরেক প্রান্তে বোলিং করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরুর ৫০ মিনিট পর বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে শুরু থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা। খেলা চলছিল ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় পাকিস্তানের স্কোর ৪৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২৩।
৭৬ বলে ২ চারে ২০ রানে খেলছেন আজহার আলি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় অধিনায়ক বাবর আজমের রান ৫৭ বলে ৩৮।
আজহার-বাবর জুটিতে পঞ্চাশ
আব্দুল্লাহ শফিক ও আবিদ আলির বিদায়ের পর পাকিস্তানকে টানছেন আজহার আলি ও বাবর আজম। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
তাইজুল ইসলামকে চার মেরে ১০৩ বলে জুটির রানে পঞ্চাশে নেন পাকিস্তান বাবর। সাবলীল গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অন্য প্রান্তে বেশ ভুগছেন আজহার। তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
তাইজুলের হাত ধরে ২ উইকেট
প্রথম ঘণ্টায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারা বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে দ্বিতীয় ঘণ্টায়। তাইজুল ইসলামের হাত ধরে লাঞ্চের আগে বিদায় করে দিয়েছে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে।
সহায়ক কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারেননি দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেহ আহমেদ। তাদের সরিয়ে দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল আক্রমণে আসার পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতিতে বাধ দিতে পারে বাংলাদেশ।
প্রথম ঘণ্টায় ১৫ ওভারে ৫৪ রান তোলা পাকিস্তান পরের ঘণ্টায় ১৬ ওভারে যোগ করতে পেরেছে কেবল ২৪ রান। হারিয়েছে আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিককে। দুই জনই বোল্ড হয়েছেন তাইজুলের বলে। এই সময়ে দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন টানা ৬ মেডেন।
৩১ ওভারে ২ উইেকেটে ৭৮ রানে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে গেছে পাকিস্তান। ৩৭ বলে ৬ রানে খেলছেন আজহার আলি। বাবর আজমের রান ১৮ বলে ৮।
১১ ওভারের টানা স্পেলে সাকিব দিয়েছেন কেবল ১৬ রান, মেডেন নিয়েছেন ৬ ওভার। জোরাল কয়েকটি আবেদন হয়েছে তার বলে। তাইজুল ১১ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। তিনি নিয়েছেন ৩ মেডেন।
আবিদকে বোল্ড করে দিলেন তাইজুল
প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই বাংলাদেশকে ভোগানো ওপেনার আবিদ আলিকে বোল্ড করে দিলেন তাইজুল ইসলাম। এর আগে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককেও বিদায় করেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
উইকেটের পেছন থেকে অনেকক্ষণ ধরেই লিটন দাস তাগিদ দিচ্ছিলেন, মেডেন ওভারের জন্য। তাইজুলের পর সাকিব আল হাসানও নেন মেডেন। তাইজুলের পরের পাঁচটি বলও ডট খেলেন আবিদ। শেষ বলে পিছিয়ে গিয়ে কাট করে আলগা করতে চেয়েছিলেন ফাঁস।
ঠিক মতো খেলতে পারেননি এই ওপেনার। যতটা আশা করেছিলেন ততটা ওঠেনি বল। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। ৬ চারে ৮১ বলে ৩৯ রান করেন আবিদ।
চট্টগ্রামে সেঞ্চুরির পর করেছিলেন ৯১ রান।
বেনিফিট অব ডাউট পেলেন ব্যাটসম্যান, বাংলাদেশ হারাল রিভিউ
তাইজুল ইসলাম পরের ওভারেই পেতে পারতেন আরেকটি উইকেট। শূন্য রানে ফিরতে পারতেন আজহার আলি। কিন্তু তিনি পেলেন বেনিফট অব ডাউট। বাংলাদেশ হারাল আরেকটি রিভিউ।
বাঁহাতি স্পিনারকে পা বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন আজহার। কিন্তু ঠিক মতো পারেননি। ক্যাচের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন মুমিনুল হক।
বল ব্যাট পার হওয়ার মুহূর্তে আল্ট্রা এজে মৃদু স্পাইক দেখা গেছে। আম্পায়ার আউট দিলেও দিতে পারতেন। তবে মাঠের আম্পায়ার আউট না দেওয়াতেই হয়ত দেননি তিনি।
শুরুর জুটি ভাঙলেন তাইজুল
এক প্রান্তে সাকিব আল হাসান চাপে রেখেছেন ব্যাটসম্যানদের। আরেক প্রান্তে দারুণ বোলিংয়ে তাইজুল ইসলাম পেলেন উইকেট। বোল্ড করে দিলেন আব্দুল্লাহ শফিককে।
সাকিব ও তাইজুল বল করছেন দুই গতিতে। সাকিব একটু স্লো, তাইজুল করছেন জোরের উপরে। তাদের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে দুই ওপেনারকে। উইেকেটের পেছনে থাকতে পারে এরও একটি ভূমিকা।
ওয়াইড ক্রিজ থেকে লেংথ বল ভেতরে ঢোকান তাইজুল। প্রতিক্রিয়া দেখাতে একটু দেরি করে ফেলেন শফিক। তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। ভাঙে ১১১ বল স্থায়ী ৫৯ রানের জুটি।
৫০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করেন শফিক।
ক্রিজে আবিদ আলির সঙ্গী আজহার আলি।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারে উইকেট প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বলে শট খেলেননি আব্দুল্লাহ শফিক। বল লাগে প্যাডে।
আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। ব্যাটসম্যান শট না খেলায় বল স্টাম্পে লাগলেই চলতো। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল যেত অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। নষ্ট হয় স্বাগতিকদের একটি রিভিউ।
সে সময় ২১ রানে ছিলেন শফিক।
উইকেটশূন্য প্রথম ঘণ্টা
আকাশ মেঘে ঢাকা। শুরুতে উইকেটে কিছুটা সুবিধাও আছে। তাই টস হেরে বোলিং পেয়েও আপত্তি ছিল না মুমিনুল হকের। তবে অধিনায়ককে প্রথম ঘণ্টায় হতাশই করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
মিরপুর টেস্টের প্রথম ঘণ্টায় মিলেনি কোনো উইকেট। ১৫ ওভারে ৫৪ রান তুলেছেন আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। এর মধ্যে শেষ ১০ ওভারে রান এসেছে সাড়ে চার করে।
৩৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২১ রানে খেলছেন শফিক। ৬ চারে ৫৫ বলে ৩৩ রানে খেলছেন আবিদ।
চট্টগ্রাম টেস্টে ১৪৬ ও ১৫১ রানের চমৎকার দুটি উপহার দেওয়া আবিদ ও শফিক এবার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৮৫ বলে।
পাকিস্তানের সাবধানী শুরু
আকাশ মেঘে ঢাকা। সকাল বেলাতেই জ্বলে উঠেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট। পেসারদের জন্য বেশ সুবিধা মিলছে। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারছেন না দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
লাইন ও লেংথে খুব একটা ধারাবাহিক নন তারা। আলগা বল করছেন নিয়মিত। অনেকটা অনায়াসেই এগিয়ে যাচ্ছেন আবিদ আলি। যথারীতি সাবধানী আব্দল্লাহ শফিক।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম স্পেলে বিবর্ণ খালেদ। ৪ ওভারে একটি মেডেন নিয়ে এই পেসার দিয়েছেন ১৯ রান। তার ওভার থেকে এসেছে তিনটি বাউন্ডারি। ইবাদত প্রথম পাঁচ ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান।
মাহমুদুলের অভিষেক
চট্টগ্রামে আগের টেস্টেই জোরালো সম্ভাবনা জেগেছিল মাহমুদুল হাসানের অভিষেক হয়ে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত টিকে যান সাইফ হাসান। সেই ম্যাচে আরও পরিষ্কার হয়ে যায় তার ঘাটতির জায়গাগুলো। হয়তো মিরপুর টেস্টে জায়গা হারাতেন এমনিতেই, তবে টাইফয়েডের জন্য ছিটকে যান আগেই।
তবে অভাবনীয়ভাবে দ্বিতীয় টেস্টের দলে মোহাম্মদ নাঈম শেখ চলে আসায় মাহমুদুলের অভিষেক নিয়ে জাগে শঙ্কা। সাকিব আল হাসান চোট কাটিয়ে ফেরায়, তাকে জায়গা দিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে প্রমোশন দিয়ে ওপেনিংয়ে পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পথে হাঁটেনি বাংলাদেশ। তাতে অভিষেক হয়ে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান মাহমুদুলের।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলে মূলত তিন নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেন তিনি। তবে দেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি খেলছেন ওপেনার হিসেবে।
টেস্ট দলের হয়ে মাহমুদুলের প্রথম দিনের অনুশীলনেই অবশ্য এরকম কিছুর আভাস মিলেছিল। চট্টগ্রামে সেদিন সাদমান ইসলামের সঙ্গে নেটে শুরতেই পাঠানো হয় মাহমুদুলকে। পরদিনও তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে নেটে পাঠানো হয় শুরুর দিকে। তাকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলাদা কাজ করেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। ঢাকায় অনুশীলনেও ছিল মোটামুটি একই চিত্র।
ঘরোয়া ক্রিকেট ও ইমার্জিং দলের হয়ে সীমিত ওভারে ভালো পারফরম্যান্সের পর এবার জাতীয় লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নেন মাহমুদুল। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর প্রথম সিরিজেই টেস্ট ক্যাপ হাতে পেলেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
একই একাদশ নিয়ে পাকিস্তান
চট্টগ্রাম টেস্ট জেতা দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান। সেই ম্যাচে খুব একটা ভালো না করলেও টিকে গেছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নুমান আলি।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, ফাহিম আশরাফ, ফাওয়াদ আলম, হাসান আলি, নুমান আলি, সাজিদ খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
বাংলাদেশ দলে ৩ পরিবর্তন
মিরপুর টেস্টের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফিরেছেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। অভিষেক হচ্ছে মাহমুদুল হাসান জয়।
টাইফয়েডের জন্য আগেই ছিটকে গেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। জায়গা হারিয়েছেন বিবর্ণ পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি। চট্টগ্রাম টেস্টে হেলমেটে বলের আঘাত পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরি খেলছেন না এই ম্যাচে।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান,, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
বাংলাদেশ সফরে সবশেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মত টস জিতলেন বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক নিলেন ব্যাটিং। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও। আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় বোলিংয়েও আপত্তি নেই তার। কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দিতে চান পাকিস্তানকে।
আরেকটি কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ হয়ত জিততেই জানে না, চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই একরাশ হতাশা নিয়ে বলেছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। সেই টেস্ট ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। মিরপুরে তাদের সামনে অপেক্ষা করছে আরেকটি কঠিন পরীক্ষা। কোচের কথাকে ভুল প্রমাণ করতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে দিতে হবে স্কিল, সামর্থ্য ও দৃঢ়তার প্রমাণ।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
বাংলাদেশে এসে অন্তত দুই সংস্করণে সিরিজ খেলে সব ম্যাচ জয়ী সবশেষ দল পাকিস্তান। ২০১১ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে জিতেছিল তারা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পাশাপাশি জিতেছিল একমাত্র টি-টোয়েন্টিও। এরপর থেকে দেশের মাটিতে কোনো দলের বিপক্ষে অন্তত দুই সংস্করণে সিরিজ খেলে সব ম্যাচে হারেনি বাংলাদেশ। সেই ধারা ধরে রাখার শেষ সুযোগ মিরপুর টেস্ট।
এই ম্যাচে ফ্ল্যাট উইকেট চান মুমিনুল হক। তবে পছন্দ হলেই যে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট পাওয়া যাবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেই। মিরপুরের উইকেট নিয়ে ম্যাচের আগে হওয়া ধারণা ম্যাচে বদলে যাওয়ার উদাহরণ আছে যথেষ্টই। সব মাথায় রেখেও মুমিনুলের আশা, এবার ভালো উইকেট হবে।
“মিরপুরের উইকেট আমরা সবাই জানি যে, বলা কঠিন…আমার কাছে মনে হয়, সাদা বলে একরকম উইকেট হয়, লাল বলে আরেকরকম। সাদা বলে দুই পাশ থেকে নতুন বল থাকে, তখন বিভিন্ন কিছুর মুখোমুখি হতে হয় ব্যাটসম্যানদের। তবে লাল বল তো একটিই থাকে। আমার কাছে মনে হয়, সাদা বলের চেয়ে ভালো উইকেট হবে লাল বলে।”