চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম সেশনে বিপদে পড়া বাংলাদেশ দিন শেষে দারুণ দীপ্ত এই দুজনের সৌজন্যেই। ৪৯ রানে দল ৪ উইকেট হারানোর পর উইকেটে সঙ্গী হন দুজন। দিন শেষেও বিচ্ছিন্ন হয়নি সেই বন্ধন। দলে যোগ হয়েছে আরও ২০৪ রান।
১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আলোটা কেড়ে নিয়েছেন মূলত লিটন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। তবে মুশফিকও খুব পিছিয়ে নেই। দিনশেষে অপরাজিত তিনি ৮২ রানে।
ইনিংসটির শুরুতে মুশফিক ছিলেন দারুণ সাবধানী। একসময় তার রান ছিল ৪৮ বলে ৫। সেখানে এক পর্যায়ে টানা ৩৪ বলে পারেননি কোনো রান নিতে। তবে অস্থির হননি, চাপের কাছে হার মানেননি। চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে কাটিয়ে দেন ওই সময়। সেটির ফসল ঘরে তোলেন পরে। অস্বস্তিগুলো ঝেরে ফেলে খেলেন কার্যকর ইনিংস।
দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং কোচ মুশফিকের প্রশংসা করলেন শুরুর ওই লড়াইয়ের জন্য।
“মুশফিক শুরুতে অনেক ধৈর্যশীল ছিল। সে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। শুরুর সময়টায় এত কম স্ট্রাইক রেট থাকলে ও বল বাউন্ডারিতে পাঠাতে না পারলে তরুণ কোনো ক্রিকেটার হয়তো অস্থির হয়ে উঠত। কিন্তু সে অভিজ্ঞ টেস্ট ক্রিকেটার। সে ধীরস্থির থেকেছে। সে জানত, টেস্টে টিকে থাকলে পরে দ্রুত রান আসতে পারে। সে দারুণ ইনিংস খেলেছে।”