বিপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে হাসানের এই বোলিং

বিশ্বকাপে বোলিংয়ে পাকিস্তানের একমাত্র হতাশার জায়গা ছিলেন হাসান আলি। পুরো টুর্নামেন্টে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবুও তার ওপর আস্থা হারায়নি দল। তিনিই বাংলাদেশে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক। আঁটসাঁট বোলিংয়ে তিন উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের থামিয়ে দেন ১৩০ এর নিচে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2021, 03:36 PM
Updated : 19 Nov 2021, 04:46 PM

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে হাসান ছিলেন উইকেটশূন্য। সেই ম্যাচেই ১৯তম ওভারে ছাড়েন ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ। পরের তিন বলে তিন ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন অস্ট্রেলিয়ার কিপার-ব্যাটসম্যান। 

সেই হারের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন হাসান। সে সব উড়িয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নুরুল হাসান ও আমিনুল ইসলামের উইকেট। 

ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের পর সরে গেছে চেপে বসা প্রবল চাপ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর পিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় হাসান জানালেন, বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে জানতেন এখানে কেমন বোলিং করতে হবে। 

“আমি এখানে বিপিএলে খেলে গেছি। জানি, এখানে উইকেট সাধারণত একটু মন্থর হয়। বৈচিত্র্যের সঙ্গে ‘স্টাম্প টু স্টাম্প’ বোলিং করলে এখানে সাফল্য মেলে। আমি ঠিক তা-ই করেছি। স্টাম্প সোজা বোলিং করেছি এবং নিজের বৈচিত্র্য কাজে লাগিয়েছি।”

২০১৭ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে খেলেন হাসান। ১৫.৩১ গড়ে নেন ১৬ উইকেট। সেরা ছিল ২০ রানে ৫ উইকেট, মিরপুরেই। বিশ্বকাপ যেমন কেটেছে তাতে চার বছর আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ তিনি না পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। বৈশ্বিক আসরে ৪১.৪০ গড়ে তিনি নেন কেবল ৫ উইকেট, ওভার প্রতি দেন ৯ রান করে।

তবুও তার ওউপর আস্থা রাখে দল। প্রতিদান দিতে দুর্বলতা কাটাতে কঠোর পরিশ্রম করে যান হাসান। তার মতে, এই পারফরম্যান্স অক্লান্ত সেই পরিশ্রমেরই ফল।   

“আমি জানি, বিশ্বকাপে আমার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ ছিল না। তবে ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ওঠা-নামা থাকেই। আমি সব সময়ই ১১০ শতাংশ দিতে চেয়েছি। তবে কিছু একটার যেন কমতি ছিল। ‘নো’ বল সমস্যার পেছনে সেটাই কারণ ছিল। আমি প্রচুর রান দিয়েছি এবং কোনো উইকেট পাইনি। বাংলাদেশে আসার পর আমি নিজের দুর্বলতা নিয়ে কাজ শুরু করি। আর এটা সেই কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার।”