মালিক-হাফিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশে ফিরে ভাববেন বাবর

তাদের সমসাময়িক প্রায় সবাই কবেই খুলে ফেলেছেন গ্লাভস। তুলে রেখেছেন ব্যাট, প্যাড। কিন্তু এখনও দিব্যি খেলে যাচ্ছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই ক্রিকেটার ছিলেন পাকিস্তান দলে। পরের আসর স্রেফ এক বছর পরে বলেই প্রশ্ন উঠছে, অস্ট্রেলিয়াতেও কি দেখা যাবে তাদের? অধিনায়ক বাবর আজম বললেন, বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে এ নিয়ে ভাববেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 11:36 AM
Updated : 18 Nov 2021, 11:36 AM

শুরুতে ঘোষিত বিশ্বকাপের পাকিস্তান দলে ছিলেন না কদিন পর ৪০ স্পর্শ করতে যাওয়া মালিক। পরে যখন দলে পরিবর্তন আনা হয়, সুযোগ পাননি তখনও। অথচ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোহেব মাকসুদ চোটের কারণে ছিটকে পড়ায় বদলি হিসেবে নেওয়া হয় মালিককে। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি।

নিউ জিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে শেষ দিকে ব্যাট হাতে মালিক রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করেন মাত্র ১৮ বলে, এই সংস্করণে যা পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম। ৬ ছক্কা ও একটি চারে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের খুনে ইনিংসে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ওই ম্যাচেই ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন ৪১ বছর বয়সী হাফিজ। নামিবিয়ার বিপক্ষে করেন ১৬ বলে অপরাজিত ৩২। বাকি ম্যাচগুলোয় অবশ্য বলার মতো কিছু করতে পারেননি তিনি।

বিশ্বকাপ দল থেকে বাংলাদেশ সফরের দলে নেই কেবল হাফিজই। তরুণ কাউকে সুযোগ দিতে তিনি নিজেই প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমকে অনুরোধ করেন, এই সফরে তাকে বিবেচনা না করতে।

মিরপুরে শুক্রবার শুরু হবে তিন ম্যাচের সিরিজ। আগের দিন বাবরের সংবাদ সম্মেলনে উঠল মালিক ও হাফিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গ। ২০ ওভারের আগামী বিশ্বকাপের দলে তারা থাকবেন কি-না, এমন প্রশ্নে সময়ের হাতেই জবাবটা ছেড়ে দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

“দল কেমন হবে, কোন ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় যাব, এত দ্রুত তা বলার সময় আসেনি। পুরো বছর পড়ে আছে। দেশে ফেরার পর পরিকল্পনা করব, নির্বাচকদের সঙ্গে বসব যে, কোন পথে এগোব আমরা। নিজের চাওয়া ব্যাখ্যা করব, তাদের কথা শুনব। সবাই একসঙ্গে বসেই পরিকল্পনা করব।”

এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। এগিয়ে যাচ্ছিল তারা অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সেমি-ফাইনালেও বেশির ভাগ সময় ম্যাচের লাগাম ছিল তাদের হাতেই। কিন্তু শেষ দিকের কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে ফাইনালে উঠে যায় অস্ট্রেলিয়া, পরে হয় চ্যাম্পিয়ন।

ধারাবাহিকতা ও একতা, এই দুটি ব্যাপার পাকিস্তান ক্রিকেটে কমই দেখা গেছে। এমনকি অতীতের অনেক তারকাবহুল দলেও ছিল এসবের ঘাটতি। বর্তমান দলটা এখানেই অভাবনীয়ভাবে ব্যতিক্রম। বিষয়টি সামনেও ধরে রাখার প্রত্যয় বাবরের কণ্ঠে।

“সিরিজ ধরে ধরে মনোযোগ দিতে হবে। বিশ্বকাপে এবার ইতিবাচক যেটা মিলেছে, আমাদের দল একতাবদ্ধ হয়ে খেলেছে। আমাদের ছেলেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে, যতটা আত্মবিশ্বাস মিলেছে, চেষ্টা থাকবে তা ধরে রাখার।”

“স্বচ্ছতা খুব জরুরি, একটা ভূমিকা দেওয়া এবং সেটা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। যখন বুঝতে পারবেন যে কিভাবে খেলবেন এবং ম্যাচে গিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে মেলে ধরবেন, ক্রিকেটারদেরকে যখন এটা বুঝিয়ে দিতে পারবেন, তখন আপনার কাজ সহজ হবে।”