মুখোমুখি হওয়ার আগে একটা জায়গায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। চলতি আসরে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারই প্রথম খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ মূল পর্ব শুরু করেছে এই মাঠেই।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে যদিও ১৭১ রান করে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা এই ম্যাচে অন্তত কাজে লাগাতে চায় দল।
সেই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ দল বুঝেছে, শারজাহর উইকেট নিয়ে আগের ধারণা সঠিক। স্পিনারদের জন্য প্রবল সুবিধা এখানে সব সময় থাকে না। নতুন করে উইকেট বানানোর পর এই মাঠে রান কমে গেলেও মাঝেমধ্যে বড় সংগ্রহের দেখাও মেলে।
ক্যারিয়ানদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই আগাম কোনো ধারণা নিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ। বরং খোলা মনে মাঠে নেমে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে চায় দল, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বললেন সোহান।
“আমরা প্রথম ম্যাচ শারজাহতে খেলেছি। এর আগে থেকে অনেক কিছুই শুনছিলাম যে, ওই পিচে রান হচ্ছে না। ওখানে জেতার জন্য ১৫০-১৬০ রানই যথেষ্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম যে, আমরা ১৭১ রান করেও জিততে পারিনি। আমার মনে হয় যে, কাল কোন উইকেটে খেলা হবে, কাল কেমন থাকবে পিচ, তা যখন ম্যাচে যাব, তখনই বুঝতে পারব। আগে থেকে কিছু বলার নাই।”
“এমনিতে আমরা জানি যে, উইন্ডিজ দলে অনেক পাওয়ার হিটার আছে। এটার ওপরই ওরা বেশি মনোযোগ দেয়। সেটা নিয়ে আমাদের টিম মিটিংয়ে কথা হয়েছে যেন, আমরা আমাদের পরিকল্পনা স্মার্টলি কাজে লাগাতে পারি। সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়, সেটা যেন ঠিক মতো করতে পারি, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।”
পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে কোন বোলারকে কখন, কোন ব্যাটসম্যানের সামনে, কোন প্রান্ত থেকে ব্যবহার করা হবে। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মূল বোলারদের লম্বা সময় আক্রমণের বাইরে রেখে অনিয়মিত স্পিনার ব্যবহার করায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
শারজাহতে মাঝের উইকেটে খেলা না হলে, যে কোনো এক প্রান্তের বাউন্ডারি হয়ে যেতে পারে তুলনামূলক বেশি ছোট। সেই ক্ষেত্রে বোলারদের আক্রমণে আনতে হবে হিসেব কষে।