অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক দুটি সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশে দলের চরম হতাশার সিরিজে ব্যতিক্রম ছিলেন মার্শ। ধারাবাহিক রান করে গেছেন। ক্যারিবিয়ায় যেমন ঝড় তুলেছেন ব্যাট হাতে, তেমনি বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটেও মানিয়ে নিয়েছেন।
দেশে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শুরুতেই চলছে তার সেই ফর্মের ধারা। ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট মার্শ কাপের প্রথম ম্যাচেই মার্শ করেছেন সেঞ্চুরি।
অ্যাডিলেইডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই সেঞ্চুরির পর মার্শ বললেন, ওয়ানডে আসরের জন্যও তার প্রস্তুতি ছিল টি-টোয়েন্টি ঘরানার।
“সবশেষ সফরের প্রস্তুতিই এখানে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি, সেখানে মূল মনোযোগ টি-টোয়েন্টিতে। সাদা বলের দুই সংস্করণ প্রায় একই। অবশ্যই ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যতটা সম্ভব খেলতে চাই (ওয়ানডে ও বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে), তবে সামনেই বিশ্বকাপে খেলব অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। অনেক বড় মুহূর্ত হবে সেটি এবং সেরা ফর্মে থেকে সেখানে যেতে চাই।”
“সত্যি কথা বলতে, আমি কেবল ছক্কা মারার অনুশীলনই করেছি এবং (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সফরে যাওয়ার আগে স্রেফ এটাই করেছি, তা কাজে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।”
বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে বলে জানালেন মার্শ।
“এই অনুশীলন চালিয়ে যাব। হয়তো ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে কিছুটা খেলতে হবে, তখন কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। তবে সব মিলিয়ে ট্রেনিং উপভোগ করছি আমি ও ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছি, খুব বেশি বদল তাই হবে না।”
মূল তারকাদের অনেকের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে তিন নম্বরে ব্যাট করার গুরু দায়িত্ব পেয়ে দারুণ সফল হন মার্শ। বিশ্বকাপে তারকারা ফিরেছেন। মার্শ যদিও আশা করছেন তিন নম্বর ধরে রাখার, তবে বাস্তবতাও তার জানা।
“আমি আশাবাদী যে সেখানে থাকব, তবে আমাদের এত বেশি ভালো ক্রিকেটার আছে! স্টিভ স্মিথ এই ভূমিকা বেশ অনেক দিন থেকে পালন করে আসছে এবং যথেষ্ট উপযুক্ত সে।”
“আমাকে যে ভূমিকাই দেওয়া হোক, তিন নম্বর কিংবা মিডল অর্ডারে অন্য সবার মতোই অনেকটা উন্মুক্ত থাকা, নিজের ভাবনায় পরিষ্কার থেকেই যাব আমি এবং সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে সহায়তা করব।”