নমুনা কিছুটা ব্রাভো দেখান আইপিএলের নতুন শুরুর ম্যাচে। দুবাইয়ে রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল খেলে ৩ ছক্কায় রান করেন তিনি ২৩।
যে দলের সম্ভাব্য স্কোর মনে হচ্ছিল ১৩০ রানের আশেপাশে, ব্রাভোর ওই ক্যামিও ইনিংসে তারাই শেষ পর্যন্ত তোলে ১৫৬ রান। পরে ম্যাচ জিতে যায় ২০ রানে। ব্যাটিংয়ে অবদান রাখার পর বল হাতেও ব্রাভো ৩ উইকেট নেন মাত্র ২৫ রান দিয়ে।
একসময় বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতোই নির্ভরতা ছিল ব্রাভোর ব্যাটে। দলে ভুমিকাও থাকত সেরকমই। সময়ের পরিক্রমায় বদলে গেছে তার ধরন। এখন তিনি স্রেফ টি-টোয়েন্টিই খেলেন এবং সেখানে বেশির ভাগ সময়ই, বিশেষ করে চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে ব্যাট করেন লোয়ার-মিডল বা লোয়ার অর্ডারে।
তবে ভূমিকা যেমনই হোক, দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ সবসময়ই আছে, মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর বললেন ব্রাভো।
“চেন্নাইয়ের এই ব্যাটিং লাইন আপে এখন আমি অনেক নিচে ব্যাট করি। তবে মূল ব্যাপারটা হলো, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো জয় করা। ১২ বল পেলে, সেটাই কাজে লাগানো কিংবা ১১ ওভার বাকি থাকলে, মানিয়ে নেওয়া ও সেভাবে খেলা।”
“পুরো ব্যাপারটিই হলো ছন্দ ও মানিয়ে নেওয়ার। ৫ বল খেলে যদি ২০ রান করা যায়, আজকের মতোই ব্যবধান গড়ে দেওয়া যায়। ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য আমার আছে। সুযোগ পেলেই কেবল কিছু করতে পারি।”
ব্রাভো দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপূন্য দেখালেও ম্যাচের সেরা হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এক প্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে নেন এই ওপেনার। পরে ঝড় তুলে অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে।