নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের 'প্রথম'

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ৬২/৩ (নিউ জিল্যান্ড ১৬.৫ ওভারে ৬০)

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2021, 09:35 AM
Updated : 1 Sept 2021, 12:42 PM

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম

লক্ষ্য ছোট হলেও মন্থর ও টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশের রান তাড়া অনায়াস হলো না খুব। তবে জয় শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানের। ৭ উইকেটের এই জয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১১ বারের দেখায় নিউ জিল্যান্ডকে প্রথমবার হারাতে পারল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড প্রথম ওভারে উইকেট হারানো নিয়ে কিউইদের দুর্দশার শুরু। প্রথম চার ওভারে চার উইকেটের ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি তারা।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ৬০ (ব্লান্ডেল ২, রবীন্দ্র ০, ইয়াং ৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১, ল্যাথাম ১৮, নিকোলস ১৮, ম্যাকনকি ০, ব্রেসওয়েল ৫, এজাজ ৩, টিকনার ৩*, ডাফি ৩; মেহেদি ৪-০-১৫-১, নাসুম ২-০-৫-২, সাকিব ৪-০-১০-২, মুস্তাফিজ ২.৫-০-১৩-৩, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৮-০, সাইফ ২-০-৭-২)।

বাংলাদেশ : ১৫ ওভারে ৬২/৩ (নাঈম ১, লিটন ১, সাকিব ২৫, মুশফিক ১৬*, মাহমুদউল্লাহ ১৪*; এজাজ ৪-০-৭-১, ম্যাকনকি ৪-০-১৯-১, রবীন্দ্র ৪-০-২১-১, ডাফি ১-০-৩-০, ব্রেসওয়েল ১-০-৩-০, টিকনার ১-০-৯-০)।

৭ উইকেটের জয়

সাকিবের পর আর কোনো উইকেট হারাতে হলো না বাংলাদেশকে। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের ঠিকানায়। কোল ম্যাকনকির শর্ট বলে মুশফিকের বাউন্ডারিতে জয় ধরা দিল ৫ ওভার বাকি থাকতেই।

২৬ বলে ১৬ রানে অপরাজিত মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ২২ বলে ১৪ রানে।

শেষ করতে পারলেন না সাকিব

ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে বেশ ভালো ব্যাট করছিলেন সাকিব আল হাসান। দলের রান বাড়ানোর কাজটি করছিলেন তিনিই। কিন্তু কাজ শেষ করে ফিরতে পারলেন না।

রাচিন রবীন্দ্রর অফ স্টাম্পের বাইরে জোরের ওপর করা ডেলিভারি একটু জায়গা বানিয়ে কাট করার চেষ্টা করেন সাকিব। একটু বাড়তি লাফিয়ে বল সাকিবের ব্যাটের কানা নিয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে।

৩৩ বলে ২৫ রান করে আউট হলেন সাকিব। ৯.৫ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩৭।

মন্থর পাওয়ার প্লে

দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো ব্যাটসম্যানকে হারায়নি বাংলাদেশ। রানও অবশ্য খুব বেশি ওঠেনি। ৬ ওভারে রান ২ উইকেটে ২২।

লিটনও পারলেন না

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভালো করতে পারলেন না লিটন কুমার দাসও। নাঈমের মতো তিনিও আউট হলেন ১ রানে।

বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন লিটন। বল টার্ন বরে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে যায় কিপারের গ্লাভসে। ফলো থ্রুতে বাইরে আসে লিটনের পা। কিপার টম ল্যাথাম ফেলে দেন বেলস।

৩ বলে ১ রানে আউট হলেন লিটন। ২.৫ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৭।

শুরুতেই শেষ নাঈম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের স্বাদ পেলেন কোল ম্যাকনকি। মোহাম্মদ নাঈম শেখ বিদায় নিলেন অল্পতেই।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের সেটি প্রথম বল। অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া ফুল লেংথ বল লফটেড ড্রাইভে শর্ট কাভারে তুলে দেন নাঈম।

৬ বলে ১ রান করে আউট হলেন নাঈম। ৬১ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ১.১ ওভারে ১ উইকেটে ১।

রেকর্ড সর্বনিম্ন রান

নিউ জিল্যান্ড ইনিংসের শেষটাও হলো মুস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে। তারে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় আউট হলেন জ্যাকব ডাফি। মিড অন থেকে অনেকটা পেছন দিকে ছুটে দারুণ ডাইভিং ক্যাচ নেন সাইফ উদ্দিন।

ডাফি আউট ৩ রানে। নিউ জিল্যান্ড অলআউট ৬০ রানে।

টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান এটিই। আগের সবচেয়ে কম রানও ছিল ৬০; ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো দল মিলিয়ে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটিই। আগের সর্বনিম্ন ছিল সবশেষ সিরিজেই অস্ট্রেলিয়ার ৬২।

পূর্নাঙ্গ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪৫।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ৬০ (ব্লান্ডেল ২, রবীন্দ্র ০, ইয়াং ৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১, ল্যাথাম ১৮, নিকোলস ১৮, ম্যাকনকি ০, ব্রেসওয়েল ৫, এজাজ ৩, টিকনার ৩*, ডাফি ৩; মেহেদি ৪-০-১৫-১, নাসুম ২-০-৫-২, সাকিব ৪-০-১০-২, মুস্তাফিজ ২.৫-০-১৩-৩, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৮-০, সাইফ ২-০-৭-২)।

মুস্তাফিজের আরেকটি

প্রথম উইকেটের হাত ধরে আরেকটি উইকেটও পেয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এবার উইকেট পেলেন কাটারে। যদিও একটি খাটো লেংথের বলছি ছিল। হাঁটুগেড়ে উড়িয়ে মারেন ডগ ব্রেসওয়েল। টাইমিং হয়নি একটিও। ফাইন লেগে ক্যাচ শেখ মেহেদি হাসান।

৭ বলে ৫ রানে আউট ব্রেসওয়েল। ১৪.৫ ওভারে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৫৫।

মুস্তাফিজের প্রথম

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম বলেই উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে তার যেটি প্রথম শিকার।

তার চেনা অস্ত্র কাটার ছিল না এটি। ফুল লেংথ সিম আপ ডেলিভারি। এজাজ বোল্ড হন বাজে শট খেলে।

৬ বলে ৩ রনে আউট এজাজ। ১৪.১ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে ৫২।

ফিরলেন নিকোলসও

নিউ জিল্যান্ডের শেষ ভরসা হেনরি নিকোলসও টিকতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত। স্পিন সামলে তিনিও আউট হলেন পেসার সাইফ উদ্দিনের বলে।

সাইফের ফুল লেংথ বল উড়িয়ে মারেন নিকোলস। কিন্তু বলটি ছিল স্লোয়ার, মারে জোর হয়নি। লং অনে কিছুটা দৌড়ে বল হাতে জমান মুশফিক।

২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হলেন নিকোলস। নিউ জিল্যান্ড ১৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৪৯।

৫ বছর পর আউটফিল্ডে ফিল্ডিং করে মুশফিক নিলেন দ্বিতীয় ক্যাচ।

সাকিবের দ্বিতীয়

পাওয়ার প্লেতে এক ওভার বোলিং করে সাফল্যের পর দ্বিতীয় স্পেলেও প্রথম ওভারে উইকেট নিলেন সাকিব। এবার তার শিকার কোল ম্যাকনকি।

মিডল স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল কবজির মোচড়ে খেলে মিড উইকেটে বৃত্তের ভেতরই সরাসরি মুশফিকুর রহিমের হাতে তুলে দেন ম্যাকনকি। আরেক অভিষিক্ত রবীন্দ্রর মতো ম্যাকনকিও ফিরলেন শূন্য রানে। গোল্ডেন ডাক অবশ্য নয়, ৩ বলে শূন্য।

নিউ জিল্যান্ড ১১.৪ ওভারে ৬ উইকেট ৪৫। টি-টোয়েন্টি আউটফিল্ডে মুশফিকের দ্বিতীয় ক্যাচ এটি।

ল্যাথামকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাইফ

টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের জুটি যখন নিউ জিল্যান্ডকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে, তখনই আবার ছন্দপতন। এবার বিদায় নিলেন ল্যাথাম। স্পিনে চার শিকারের পর এবার উইকেট নিলেন পেসার সাইফ উদ্দিন।

বলটি অবশ্য উইকেট নেওয়ার মতো ছিল না। লেগ স্টাম্পে অনেকটা শর্ট ডেলিভারি। ল্যাথাম পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে বসেন। বল তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ যায় ফাইন লেগে নাসুম আহমেদের হাতে।

ল্যাথাম আউট হলেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। নিউ জিল্যান্ড ১০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৩।

পাওয়ার প্লেতে কিউইদের ভোগান্তি

যেন দুঃস্বপ্নের এক পাওয়ার প্লে কাটাল নিউ জিল্যান্ড। ৬ ওভারে তাদের রান ৪ উইকেটে ১৮।

এক ওভারে নাসুমের দুই

এক প্রান্ত থেকে তিন উইকেটের পতন দেখা টম ব্লান্ডেল নিজেও এবার বিদায় নিলেন। নাসুম আহমেদের ঝুলিয়ে দেওয়া স্টাম্প সোজা বল জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন পুরোপুরি মিস করেন ব্লান্ডেল। বল ছোবল দেয় স্টাম্পে।

৬ বলে ২ রান করে আউট ব্লান্ডেল। নিউ জিল্যান্ড ধুঁকছে ৪ ওভারে ৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে।

টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম চার ওভারে চার উইকেট নিতে পারল বাংলাদেশ।

এবার নাসুমের শিকার

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে চারে নামিয়ে সফল হলো না নিউ জিল্যান্ড। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বিদায় নিলেন সীমানায় ধরা পড়ে।

নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে সুইপ করেন ডি গ্র্যান্ডহোম। স্কয়ার লেগ সীমানায় ফিল্ডার ছিলেন একজনই। বল যায় সরাসরি তার হাতে। সহজেই বল মুঠোবন্দি করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

৪ বলে ১ রান করে আউট ডি গ্র্যান্ডহোম। ৩.৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ৩ উইকেটে ৮।

প্রথম ওভারে উইকেট সাকিবেরও

নিজের প্রথম ওভারে উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসানও। তৃতীয় ওভারে নিউ জিল্যান্ড হারাল দ্বিতীয় উইকেট। এবার বিদায় নিলেন উইল ইয়াং।

দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের বলে রিভার্স সুইপে চার মারেন ইয়াং। কিন্তু সাকিবের নিচু হয়ে যাওয়া বলে নিজের বিপদ ডেকে আনেন তিনি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল পিচ করে মন্থর হয় আরও, নিচুও ছিল অনেকটা। ইয়াং চেষ্টা করেন কাট করার। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে।

১১ বলে ৫ রান করে আউট হলেন ইয়াং। ২.৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ২ উইকেটে ৭।

‘গোল্ডেন ডাক’ রবীন্দ্র

সিরিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন শেখ মেহেদি হাসান। আন্তর্জাতিক অভিষেকে প্রথম বলেই বিদায় নিলেন রাচিন রবীন্দ্র।

প্রথম ওভারে মেহেদির দ্বিতীয় বলে টম ব্লান্ডেল সিঙ্গেল নেওয়ার পর স্ট্রাইক পান রবীন্দ্র। মেহেদি বল দেন ঝুলিয়ে, রবীন্দ্র লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের মুখ বন্ধ করে দেন আগেই। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় বোলারের কাছে।

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে গোল্ডেন ডাক পাওয়া চতুর্থ ক্রিকেটার রবীন্দ্র। আগের তিনজন ম্যাথু সিনক্লেয়ার, কাইল মিলস ও ফিন অ্যালেন।

‘ফিল্ডার’ মুশফিক

সিরিজ শুরুর দুই দিন আগেই কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রথম দুই ম্যাচে কিপিং করবেন নুরুল হাসান সোহান, পরের দুটিতে মুশফিকুর রহিম। সেটিরই প্রতিফলনই পড়ল মাঠে। উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে সোহান।

ক্যারিয়ারের আগে ৮৬ টি-টোয়েন্টির কেবল চারটিতেই কিপিং করেননি মুশফিক। সবকটিই ২০১৬ সালে এবং সেবারও কিপিং করেছিলেন সোহানই।

উইকেট

পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার অতুল ওয়াসন যা বললেন, তাতে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুখবর নেই। তার মতে, উইকেটে বল গ্রিপ করবে বেশ, থেমে আসবে অনেক। খুব বেশি রান দেখার আশা তাই নেই।

দুই অভিষিক্ত নিয়ে নিউ জিল্যান্ড

নিউ জিল্যান্ড দলে অনুমিতভাবেই অভিষেক হচ্ছে কোল ম্যাকনকি ও রাচিন রবীন্দ্রর। শুধু টি-টোয়েন্টিতেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই অভিষেক হচ্ছে এই দুই স্পিনিং অলরাউন্ডারের।

পেস বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ড ডগ ব্রেসওয়েলের সঙ্গে বেছে নিয়েছে জ্যাকব ডাফি ও ব্লেয়ার টিকনারকে। ডাফি গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেট নেওয়ার পর আর সুযোগ পাননি।

নিউ জিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, টম ব্লান্ডেল, হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোল ম্যাকনকি, ডগ ব্রেসওয়েল, এজাজ প্যাটেল, জ্যাকব ডাফি, ব্লেয়ার টিকনার।

বাংলাদেশ দলে নেই শরিফুল

বাংলাদেশের একাদশে নেই সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে থাকা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার না থাকা নিয়ে টসের সময় কোনো কারণ জানাননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। একাদশে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ওপেনিংয়ে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সুযোগ পাননি সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।

মাহমুদউল্লাহর হাতছানি

এই ম্যাচে জিতলেই বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়ে যাবেন মাহমুদউল্লাহ। ১০টি জয় নিয়ে আপাতত তিনি যৌথভাবে শীর্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১০ জয় এসেছে ২৮ ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহর ১০ জয় এসেছে ২২ ম্যাচে।

বাংলাদেশের সুযোগ

এক মাস আগেও টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেই দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। এবার একই বাস্তবতা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও। কিউইদের বিপক্ষে এই সংস্করণে ১০ ম্যাচ খেলে এখনও কোনো জয় নেই বাংলাদেশের।

এবার খর্বশক্তির নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের কন্ডিশনে বড় সুযোগ অধরাকে ধরার। নিউ জিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ দলের একজনকেও পাঠায়নি বাংলাদেশে। এই দলের অধিনায়ক টম ল্যাথাম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সবশেষ খেলেছেন প্রায় চার বছর আগে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিও খেলেন না আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে।