যুব টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আফগান যুবাদের। মাঠের লড়াই শুরু হওয়ার কথা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিজটি পিছিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবেই।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার হিকমত হাসান ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানান, পাকিস্তানের ভিসা পেলেই সফরের জন্য রওনা হবেন তারা।
ভ্রমণ ও লজিস্টিকাল জটিলতার কারণেই কদিন আগে পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ পিছিয়ে যায়। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। বিমান যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়ে আফগানরা। পরে বাসে পাকিস্তানে গিয়ে সেখানে সিরিজটি খেলার আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আফগান ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সিরিজটি আর হয়নি এখন।
আফগানদের ভ্রমণ জটিলতা থাকলেও এই সিরিজ খেলতে মরিয়া বাংলাদেশ। কোভিড মহামারীর কারণে আগামী বছরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এখনও পর্যন্ত খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের। ম্যাচ অনুশীলনের জন্য হাপিত্যেশ করতে থাকা দল আফগানদের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি।
সিরিজটি পিছিয়ে যেতে পারে, এই মানসিক প্রস্তুতি অবশ্য আগেই ছিল বিসিবির। বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাউসার রোববার বললেন, আফগানরা দেরিতে এলেও সমস্যার কিছু নেই।
“তারা এক সপ্তাহ দেরিতে এলেও আমাদের আপত্তির কোনো কারণ নেই। সেপ্টেম্বরে এমনিতেই আমাদের আর কোনো খেলা নেই। হাতে পর্যাপ্ত সময় তাই আছে। আমাদের ছেলেদের ম্যাচ অনুশীলন জরুরি। আফগানিস্তানের ছেলেরাও এই সিরিজের জন্য ট্রেনিং করেছে। আশা করি সিরিজটি হবে।”
এই সিরিজের জন্য গত ১৯ অগাস্ট থেকে সিলেটে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ক্যাম্প করছে বাংলাদেশের যুবারা। সিরিজের পাঁচটি যুব ওয়ানডে ও একটি যুব টেস্টের সব ম্যাচই হওয়ার কথা সিলেটে।
আগামী নভেম্বরে ভারতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা চলছে। সেখানে তৃতীয় দলটি হতে পারে শ্রীলঙ্কা।