জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকাদের নাম রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। যেখানে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। বুধবার বিজয়ী হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরা হওয়ার সম্মান পেলেন সাকিব। এর আগে মে মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
গত মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও জেতে বাংলাদেশ। টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি সাকিব। তবে বল হাতে রাখেন বড় অবদান, নেন ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান সাকিব। রান তাড়ায় ৯৬ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে নিশ্চিত করেন সিরিজ। দারুণ বোলিংয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ ৮ উইকেট তারই, এক ম্যাচে নেন পাঁচ উইকেট। দুই বিভাগেই নিজেকে মেলে ধরে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে নেন ৩ উইকেট, রান করেন ৩৭।
নারীদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার স্টেফানি টেইলর। তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি হেইলি ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে।
ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক টেইলর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণেই ছিলেন উজ্জ্বল। ওয়ানডেতে এক সেঞ্চুরিতে করেন ১৭৫ রান, উইকেট নেন তিনটি। আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটার ও অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে তিনি।
এই বছর থেকেই আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ।