জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৪০৪।
বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনে ২৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে রান উঠেছে ১১০।
প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরে দারুণ সেঞ্চুরিতে রাঙিয়ে ১১ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ১১২ রানে। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে তাসকিন অপরাজিত ৫২ রানে।
দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৩৪।
টেস্টে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় শতরানের জুটি এটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল মাত্র ৩৫, ২০০৫ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাপস বৈশ্য গড়েছিলেন যা।
৮ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ভিক্টর নিয়াউচি দিনের প্রথম ওভারটি করেন দুর্দান্ত। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে দৃষ্টিনন্দন এক অফ ড্রাইভে চার মেরে ছুটতে শুরু করেন তাসকিন।
ওই ওভারেই একটি বল ছেড়ে দিয়ে মজা করে তাসকিন আহমেদ নাচের মতো ভঙ্গি করার পর কিছু একটা বলেন মুজরাবানি। তাসকিনও জবাব দেন এগিয়ে এসে। দুজন মুখোমুখি হওয়ায় উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়।
সেটির ফায়দা নেন তাসকিনই। মেজাজ হারানো মুজারাবানির পরের তিন ওভারেই তিনি মারেন বাউন্ডারি।
৩২ রানে তাসকিন জীবন পান রিচার্ড এনগারাভার বলে। দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক্যাচ ফসকে যায় মিল্টন শুম্বার হাত থেকে।
এরপর আর সুযোগ পায়নি জিম্বাবুয়ে। সময়ের সঙ্গে রানের গতিও বাড়ে।
মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১৯৫ বলে। তার পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
আগের দিন ফিফটি করেছিলেন তিনি ১৩৩ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে লাগল কেবল ৬২ বল।
৮ বাউন্ডারিতে তাসকিন ফিফটি পূরণ করেন ৬৯ বলে।
টেস্টে তার আগের সর্বোচ্ছ ছিল ৩৩। টেস্ট ক্যারিয়ারে ওই একবারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছিলেন তিনি। শুধু টেস্টেই নয়, স্বীকৃত ক্রিকেটেই ২০৭ ম্যাচ খেলে তার প্রথম ফিফটি এটি।
মাইলফলকের পরও হাল না ছেড়ে সেশন দারুণভাবে শেষ করেন দুজন।